নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরের বাজারগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও মুরগির দাম কমছে না। এছাড়া মুরগির দাম বৃদ্ধির মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয়কৃত মেমো, বিল, ভাউচার দেখাতে ‘অসাধু’ ব্যবসায়ীরা নানারকম ইস্যু দাঁড় করিয়ে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছে।
গতকাল বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৪০ টাকা, সোনালি বা কক মুরগি ৩৬০ থেকে ৩৮০ এবং দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, দেশের খামারগুলোতে মুরগি সংকট, খাদ্যের দাম বাড়তি, পোল্ট্রি খামারের সাথে জড়িত সকল ধরনের পণ্যের দাম চড়া। পোল্ট্রির খামারিরা তাদের খরচ সমন্বয় করে মুরগির দাম বাড়িয়ে নেয়, যার ফলে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও কোনভাবে কমদামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তারা।
বক্সির হাটের মুরগি ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, ‘প্রশাসন বাজার তদারকি করে জরিমানা করলেও আমরা তো কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। মধ্যস্বত্ব কারবারিরা আমাদেরকে দিয়ে যায়। তারা আমাদের কাছে কেজিতে ২৩৫ টাকা করে নিলে আমরা ৫ টাকা লাভে ২৪০ টাকা করে বিক্রি করছি।’
বিল, ভাউচার প্রসঙ্গে বলেন, ‘মধ্যস্বত্ত্ব কারবারিরা আমাদেরকে বিল, ভাউচার দেয় না। আমরা মণ হিসেবে মুরগি কিনি। আমাদেরকে মেমো না দিলে আমরা কি করতে পারি?’
রিয়াজউদ্দিন বাজারের মনির পোল্ট্রির মালিক হুমায়ূন বলেন, লাকসাম থেকে গতকাল রাতে মুরগি কিনছি। বেপারিরা আমাদেরকে দিয়ে গেছে মণপ্রতি ৯ হাজার ৩৫০ করে। সেই হিসেবে কেজিতে ২৩৩ টাকা কেনা পড়ে। আগে যেমন লাভ হত এখন তেমন নেই।
বাজারের চেয়ে স্থানীয় দোকানে আরও কম দামে বিক্রি হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হয়তো স্থানীয় দোকানদারদের কেনা কম পড়ে যার ফলে কম দামে বিক্রি করতে পারে।’
গতকাল শনিবার সকালে মুরগির ওজনে কারচুপি ও মূল্যতালিকা না থাকায় নগরের বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ চৌমুহনী কর্ণফুলী বাজারের তিন মুরগি ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুজ্জামান বলেন, মূল্যতালিকা না থাকায় বহদ্দারহাটের দুই মুরগির দোকানকে ১০০০ টাকা করে মোট ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ওজনে কম দেয়ায় নগরের চৌমুহনী কর্ণফুলী বাজার এলাকার একটি মুরগির দোকানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘বাজার তদারকিতে আমরা জোর দিয়েছি। রমজানকে ঘিরে ব্যবসায়ীদের অন্যায়ভাবে দামবৃদ্ধিকে সুযোগ দেওয়া হবে না।’