আলোচনা সভা
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
অভিবাসী কর্মীকে বিদায় সম্ভাষন ও বিদেশগামী কর্মীদের আগমনী অভ্যর্থনা জানানোর পাশাপাশি তাদের মাঝে প্রতিষ্ঠানের তৈরিকৃত টি-শার্ট, মগ, কোট পিন ও ব্যাগসহ অন্যান্য উপকরণ প্রদান করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস ও প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইমিগ্রেশনের পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মো. আরিফুজ্জামান খান। বিমানবন্দরের সকল সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান ’।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান বলেন, কর্মদক্ষতার সনদপত্র ছাড়া বিদেশে গিয়ে কর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে। সরকার ও আশানুরূপ রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদেশের শ্রম বাজারে চাহিদা থাকলেও প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে অনেকের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটছেনা। এজন্য প্রত্যেককে দক্ষ হতে হবে। দক্ষতা অর্জন করতে পারলে বাংলাদেশকে সম্মানজনক পর্যায়ে পৌঁছানো যাবে। যারা এখান থেকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিয়ে সনদপত্র অর্জনের মাধ্যমে বিদেশ যাচ্ছে তারাই চাহিদার দ্বিগুণ বা তিনগুণ পর্যন্ত বেতন পাচ্ছেন। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে নিজেকে প্রমাণ করতে হলে অভিবাসী কর্মীদের কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। সকল কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে টেকসই ও উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস ও প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরী করে সরকারিভাবে বিদেশে পাঠালে তাদের অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুণœ হয় না এবং তারা বিদেশে খুব ভাল অবস্থানে থাকেন। দেশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করে বিদেশে পাঠালে আরো বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে দেশে-বিদেশে আরো বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। অভিবাসীরা যাতে সম্পূর্ণ মর্যাদা পায় সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বহুমুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তাই এখন থেকে অভিবাসী কর্মীদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো দক্ষ করে বিদেশে পাঠাতে হবে। কাজে দক্ষ না হলে তারা ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হবে। অভিবাসন সম্পর্কিত সরকারের নীতিমালাগুলো তৃণমূল পর্যায় থেকে জনগণকে জানান দেয়া গেলে তারা সঠিক পথে বিদেশ গমনে সচেতন হবে। বিজ্ঞপ্তি