সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
ভালোবেসেই চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীকে বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। এই দুই নায়িকার সন্তানের বাবাও হয়েছেন তিনি। তবে কারো সঙ্গেই সংসার জীবন স্থায়ী করতে পারেননি।
অপু-বুবলী দুজনেই এখন শাকিবের জীবনে অতীত। একাধিকবার সাক্ষাৎকারে নিজের দুই প্রাক্তন স্ত্রীকে ‘অতীত’ বলে মন্তব্য করেছেন এই নায়ক। ভবিষ্যতে তাদের কারো সঙ্গেই নতুন কোনো সম্পর্কে জড়ানোর সম্ভাবনা নেই, সেটাও স্পষ্ট করেছেন বারবার।
সম্প্রতি ডেইলি বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছিলেন শাকিব খান। সেখানে আরো একবার নিজের প্রাক্তন দুই স্ত্রী প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। যেখানে নায়ক সরাসরি জানিয়েছেন- অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী, দুজনেই তার জীবনে অতীত হিসেবে থাকবে। খবর ডেইলিবাংলাদেশ’র
ব্যক্তিজীবনে নিজের দুই সংসার ভাঙনে কষ্ট পেয়েছেন শাকিব। বিশেষ করে মানুষের ‘কটু কথায়’। নায়কের ভাষায়, ‘আঘাত তো দিয়েছেই। কোনো ভাঙনই তো সুখের নয়। যতটুকু হয়েছে, হয়তো সেটুকুই হওয়ার ছিল। লাইফ ইজ আ জার্নি। এই যাত্রায় অনেকের সঙ্গে দেখা হয়, পরিচয় হয়। আমার জীবনে দু’জন (অপু-বুবলী) মানুষ অতীত, এটা আগেও বলেছি। অতীত হিসেবে তারা থাকুক। এসব নিয়ে আমার আক্ষেপ-ভ্রূক্ষেপ কিছুই নেই। যা হয়েছে হয়তো ভালোর জন্য হয়েছে।’
তবে পরিবার ও শুভাকাঙ্খীদের ভালোবাসাকে বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখেন শাকিব খান। নায়ক বললেন, ‘আমার দুই সন্তান, বাবা-মা, বোন ও তার পরিবার, কিছু কাছের আপন মানুষ, আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং দেশ বিদেশের কোটি কোটি ভালবাসার মানুষ রয়েছে, যারা আমাকে অঢেল ভালবাসা দেন; তাদের সবাইকে নিয়ে আমি খুব ভালো আছি।’ একই সাক্ষাৎকারে নিজের তৃতীয় বিয়ে প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন নায়ক। শাকিব বলেন, ‘মানুষ একা থাকতে পারে না। পরিবার এবং সমাজ নিয়ে বেঁচে থাকে। দেখা যাক, কোনো তাড়াহুড়ো নেই যে নির্দিষ্ট কোনো বছরের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। যদি তেমন কিছু হয়, সেটা পারিবারিকভাবে হবে এবং বিয়ের পর্যায়ে যাবে।’
এসময় বাবা-মায়ের ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে নায়ক বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের যেহেতু বয়স হয়েছে সন্তান হিসেবে তারা আমাকে সংসারী দেখতে চান।’
ওই সাক্ষাৎকারে নিজের দুই সন্তান প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘ওরা এখনো অনেক ছোট। বুঝতে শেখেনি। স্কুলে যাচ্ছে, লেখাপড়া করছে। বাবা হিসেবে আমি ওদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চাই। আমি চাই ওরা আমার চেয়েও অনেক বড় হোক। ওদের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেয়ার জন্য যা যা করতে হয় বাবা হিসেবে আমি করে যাবো।’