সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক
ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করে বন্ধ করার অভিযোগে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও তার ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে এই প্রযোজক তাদের নামে সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানিয়েছেন হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন।
বিষয়টি নিয়ে এতদিন চুপ থাকলেও এবার মুখ খুললেন অপু। বৃহস্পতিবার এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আবেদনকারী তো আমার যোগ্যই নয়। তার সম্পর্কে কী বলব? আমার অ্যাডমিনের যোগ্যতার কাতারে সে। তাই আমার অ্যাডমিনই বিষয়টি দেখছেন। আমার চ্যানেলের কনটেন্ট চুরি করে তিনিই আবার আমাদের বিরুদ্ধে জিডি করেন। এটি হাস্যকর। তার চ্যানেল তো সাসপেন্ড করেছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। এখানে আমাদের কী?
অপু বিশ্বাস আরও বলেন, শুনেছি, আমাকে হেয় করে কথা বলেন তিনি। ওনার কী যোগ্যতা আছে আমাকে নিয়ে কথা বলার? কোথায় আগরতলা, কোথায় চৌকির তলা! এসব মানুষের জন্যই তো আমাদের চলচ্চিত্রের এই দুর্দশা। এদের কারণেই প্রতারণার শিকার হয়ে সিনেমায় নতুন প্রযোজকেরা বেশি দিন টিকতে পারেন না এখানে।
তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়, আমি নাকি ফিতা কাটা নায়িকা। আরে যোগ্যদেরই তো এ ধরনের অনুষ্ঠানে ডাকা হয়। তারকা ভ্যালুর কারণেই আমাদের মতো তারকাদের দিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়। দেখেন না, ক্রিকেটের বড় বড় তারকাকেও নতুন প্রতিষ্ঠানে উদ্বোধন, ফিতা কাটতে ডাকা হয়।
এই চিত্রনায়িকা প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে তাকে ডাকে না কেন? কারণ, ওনার সেই যোগ্যতায় নেই। আমাকে নিয়ে কথা বলার সাহস তাকে কে দিয়েছে?
এদিকে জিডিতে উল্লেখ করা হয়, এই মর্মে জানাচ্ছি যে, আমি গত ২০১৬ সালের জুনে ঐর ংশ ঋরষসং রহঃ ও ঝকভরষসংরহঃ ৭৭১২ খুলি। বিবাদী অপু বিশ্বাস (৩৫) ও জাহিদুল ইসলাম অপু (৩০) গত ২৯/০৮/২৩ ইং আনুমানিক ৭টায় আমার ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করেন। গত ৩১/০৮/২৩ ইং তারিখ সকাল ৮টার সময় ২ নম্বর বিবাদী ১ নম্বর বিবাদীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেবে বলে জানান।
আরও উল্লেখ করা হয়, পরে ২ নম্বর বিবাদীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বললে ১০০০০০ টাকা দাবি করেন। এ টাকা দিলে আমার ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে দেবে, টাকা না দিলে ফেরত দেবে না বলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করেন। বিষয়টি সাইবার ক্রাইম শাখায় কথা বলে সাধারণ ডায়েরি করা হলো।