সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
আসাদুলের ভুলে লিড হারানো। এরপর নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে মইনুল ইসলামের গোল। তাতে গুয়ামের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় এক প্রকার নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল। তবে গোলরক্ষক মাহিনের ব্যর্থতায় হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি লাল সবুজরা।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ ২০২৫ বাছাইপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে যোগ করা সময়ে গোল হজম করে জয় খুইয়েছে মারুফের শিষ্যরা। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গুয়ামের বিপক্ষে ২-২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মিরাজরা।
এই ড্রয়ে ২ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের পাঁচ দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন চারে। প্রথম ম্যাচে সিরিয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরেছিল তারা। বাজে হার দিয়ে আসর শুরু করলেও পয়েন্ট টেবিলে উন্নতি করার সুযোগটা এসেছিল দ্বিতীয় ম্যাচেই।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হলে গ্রুপের সেরা দুইয়ে জায়গা করে নিতে হবে মারুফের শিষ্যদের। ভিয়েতনামে এদিন একের পর এক আক্রমণে আধিপত্য দেখিয়ে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই লিড নিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
ডান প্রান্ত থেকে রাজুর পাস গোলমুখে পেয়ে জালে জড়ান মিরাজ। এরপর অবশ্য দুদলের অগোছালো আক্রমণে ৭৫ মিনিট পর্যন্ত কেউ জালের দেখা পায়নি। ৭৫তম মিনিটে ভুলের খেসারত দিয়ে লিড হারায় বাংলাদেশ।
প্রতিপক্ষকে ডি-বক্সে আটকাতে গিয়ে ভুলে বলে হাত লাগিয়ে বসেন আসাদুল। সফল স্পটকিকে দলকে এগিয়ে দেন শুনতারো সুজুকি।এরপর আবার এলেমেলো আক্রমণে ম্যাচ এগোচ্ছিল ড্রয়ের দিকে।
৮৮তম মিনিটে বাংলাদেশকে আবার লিডে ফেরান মইন। ডি-বক্সের কাছে প্রতিপক্ষ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। যোগ করা সময়ের ৪ মিনিট পার করতে পারলেই নিশ্চিত হয়ে যেত লাল সবুজদের জয়।
কিন্তু প্রথম মিনিটেই গোল হজম করে বসে মারুফের শিষ্যরা। বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে কোনাকুনি শট নেন কার্টিস হারমন। সে শট ফেরাতে ব্যর্থ হন মাহিন। তার হাতের আলতো স্পর্শ লেগে বল জড়ায় জালে।