নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরীতে করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেসরকারি ক্লিনিক মালিকরা যেভাবে জনগনকে সেবা না দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তেমনি ফার্মেসি মালিকেরাও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নিয়ে ডাকাতি শুরু করে দিয়েছে। নির্ধারিত দামের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করছে করোনার সাথে গুরুত্ব¡পূর্ণ কয়েকটি ওষুধ। নগরীর অলিতে-গলিতে ফার্মেসিগুলিতে এ সমস্ত ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে দাম বেশি দিলে আবার বের করে দিচ্ছে। ফার্মেসিগুলির এই অতিরিক্তি দামে ওষুধ বিক্রি ঠেকাতে চট্টগ্রামের ওষুধের পাইকারি বাজার হাজারী গলিতে র্যাব, জেলা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। ওষুধের অতিরিক্ত মূল্য আদায় ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধের কৃত্রিম সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ক্যাব নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস বিবৃতিতে দাবি গুলো জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু ফার্মেসি করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে ৭৫০ টাকা দামের আইভেরা ৬ মিলিগ্রাম নামের ওষুধ ৬ প্যাকেট বিক্রি করছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। ৫০ টাকার স্ক্যাবো ৬ মিলিগ্রাম নামের ওষুধ প্রতি পাতা বিক্রি করছে ৫০০ টাকা, ২৫ টাকা দামের জিঙ্ক ২০০ মিলিগ্রাম নামের ওষুধ প্রতি পাতা বিক্রি করছে ৫০ টাকা, ২০ টাকা দামের সিভিট ২৫০ মিলিগ্রাম নামের ওষুধ প্রতি পাতা বিক্রি করছে ৫০ টাকা। ৩৬০ টাকা দামের রিকোনিল ২০০ মিলিগ্রাম নামে ওষুধ প্রতি প্যাকেট (৩ পাতা) বিক্রি করছে ৬০০ টাকা, ৪৮০ টাকা দামের মোনাস ১০ মিলিগ্রাম নামের ওষুধের প্রতি প্যাকেট (২ পাতা) বিক্রি করছে ১ হাজার ৫০ টাকা, ৩১৫ টাকা দামের অ্যাজিথ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম নামের ওষুধের প্রতি প্যাকেট (৩ পাতা) বিক্রি করছে ৬০০ টাকায়।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ওষুধ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মূলহোতা কারা সবই তারা জানে। তারপরেও মূল জায়গায় অভিযান পরিচালনা না করে লোক দেখানো ছিটেফোটা অভিযান পরিচালনা করে জনগণের ভোগান্তির মাত্রা বাড়ায়। ওষুধের কৃত্রিম সংকট ও দাম বেশি নেবার ঘটনায় ওষুধ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ হাত থাকায় এ অপরাধীরা করোনা শুরু হবার সময় সেনিটাইজার, ডেটল, সেভলন বাজার থেকে গায়েব করে দেন। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন কিছু করা বা তাদের ডেকে বলার প্রয়োজনটুকু অনুভব করেনি। ফলে তারা এখন আরও বেপরোয়া হয়ে কৃত্রিম সংকট করে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।