নিজস্ব প্রতিবেদক »
ভয়াবহ দূষণের শিকার চট্টগ্রাম। সিআরবি পাহাড়ের শত শত বছরের শিরীষ গাছগুলো এক একটি অক্সিজেন তৈরির কারখানা। সিআরবিতে হাসপাতাল হলে সেই অক্সিজেন কারখানা ধ্বংস হয়ে যাবে। অক্সিজেনের কবর রচনা করে সিআরবিতে হাসপাতাল করতে দেওয়া যাবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিআরবিতে ধারাবাহিক অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে আলোচকরা এ কথা বলেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের কো চেয়ারম্যান, রাজনীতিক মফিজুর রহমান, পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর হোসাইন কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, শিক্ষক নেতা আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, শিক্ষক নেতা উত্তম কুমার আচার্য, চট্টগ্রাম মঞ্চ সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি আলাউদ্দিন তাহের, সাংস্কৃতিক সংগঠক সুনীল ধর, ডক বন্দর শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেড আর চৌধুরী বাবু, নারীনেত্রী সাহেলা আবেদীন রীমা, পশ্চিম রামপুরা ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারহানা আফরোজ আলম জেনিফা, নারীনেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্ট, চট্টগ্রামের আহ্বায়ক আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, যুবলীগ নেতা জয় ম্যাক্স, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিম, ছাত্রলীগ নেতা হারুনর রশীদ, খন্দকার নাইমুল আজম, আনোয়ার পলাশ, মাইনউদ্দিন মামুন, শরীফুল ইসলাম মাহি, আবদুল্লাহ আল সাইমন প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক ঋত্বিক নয়ন।
বক্তারা বলেন, হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার জন্য ২০১৭ সালে আহূত ইনভাইটেশন ফর বিড (আইএফবি) নোটিশে প্রকল্পের স্থান হিসেবে সিআরবির নাম ছিল না। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, “বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বা তাৎপর্যম-িত স্মৃতিনিদর্শন, বস্তু বা স্থানসমূহকে বিকৃতি, বিনাশ বা অপসারণ হইতে রক্ষা করিবার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। এছাড়া মাস্টার প্ল্যানের আলোকে ২০০৯ সালে সিডিএ কর্তৃক প্রণীত ‘ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)’ এ সিআরবিকে ‘সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য’ হিসেবে সংরক্ষণের কথা উল্লেখ আছে। সুতরাং আমাদের বক্তব্য, সিআরবি অথবা রেলওয়ের বৃক্ষ আচ্ছাদিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যম-িত জায়গা ব্যতিরেকে রেলওয়ের মালিকানাধীন বিশাল বিস্তৃত সমতল ভূমির অন্য যেকোন একটি জায়গায় যেমন; বিজিএমই ভবনের কাছে, ইউএসটিসি এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের পাশে এই হাসপাতাল নির্মাণ করা যেতে পারে। আমরা আশা করি, সরকারি জায়গায় যদি কোন বেসরকারি স্থাপনা নির্মাণ করা হয় তা যেন প্রকৃত অর্থেই জনকল্যাণমূলক হয়, মুনাফাভিত্তিক নয়।
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, অধ্যাপক শামসুদ্দিন শিশির, স্বপন মজুমদার, চবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার তানিম, ডক বন্দর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
এ মুহূর্তের সংবাদ