নির্বাচনের আগে মাঠ গরমের চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত

১৪ দলের সভায় সুজন

চট্টগ্রাম ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, একটি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন যখন একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে তখনই নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করা অপচেষ্টা চলছে। সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের আগে মাঠ গরম করার চেষ্টা করছে বিএনপি জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠী।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দোস্ত বিল্ডিংস্থ চট্টগ্রাম ওয়াকার্স পার্টির কার্যালয়ে ১৪ দলের এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, একের পর এক ধ্বংসাতœক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারা। তাদের পাশাপাশি একটি বিদেশি রাষ্ট্রও দেশের রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। তারা বাংলাদেশে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতির উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। মূলত বাংলাদেশের জলসীমাকে তাদের আয়ত্তে আনার জন্য তারা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের ফায়দা হাসিল করতে চায়।

তিনি আরও বলেন ১৯৭১ সালেও সেই দেশটি পাকিস্তানের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত ছিল। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বাংলাদেশের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে তাদের সে অপপ্রয়াস রুখে দিয়েছিল। বাংলাদেশ এখন একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামক দেশটি স্বাধীন হয়েছে। এ দেশ কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করে না। প্রয়োজনে ৭১’র মতো জীবন দিবো তারপরও এদেশের আকাশ ও জলসীমা কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেবো না।

একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান ১৪ দল নেতৃবৃন্দ।

সভার শুরুতে ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের নারকীয় ঘটনার শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন নেতৃবৃন্দ।
সভায় দেশের নাগরিকদের পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান ১৪ দল নেতৃবৃন্দ।

ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহানের সঞ্চালনায় এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিমুদ্দিন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, ওয়াকার্স পার্টি জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, ন্যাপের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য গাজী আলমগীর, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, গণআজাদী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও মহানগর সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম আশরাফী, ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিটুল দাশগুপ্ত, ন্যাপ মহানগর কমিটির সভাপতি বাপন দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ মজুমদার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মহানগর আহ্বায়ক কাজী আহসানুল মোর্শেদ কাদেরী, গণআজাদী লীগমহানগর সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. খোরশেদ আলম, ওয়াকার্স পার্টি জেলা কমিটির সদস্য মনসুর মাসুদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি