৯ হাজার পার হলো করোনা আক্রান্ত

একদিনে মারা গেলেন ৬ জন, সুস্থ ১৯ #

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে মারা গেলেন ৬ জন। এরমধ্যে দুই জন মহানগরীর এবং চারজন উপজেলার বাসিন্দা। এদিকে বুধবার (১ জুলাই) একদিনে নগরীতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৭১ জন।
বুধবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, শেভরন ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১ হাজার ৩৭৩টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ২৭১ জনের। এই ২৭১ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৮৭ জন ও উপজেলার ৮৪ জন। আর এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ১২৩ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ১৮৪ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১০৮৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে মারা গেছে ছয়জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন।
এদিকে সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ৩১৫ টি নমুনার মধ্যে ২৩টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এরমধ্যে ৬ জন মহানগরের এবং ১৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪২টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৫১ জনের, এদের মধ্যে ২১ জন নগরীর এবং ৩০ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৪০৮টি নমুনার মধ্যে ১০০ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের মধ্যে ৮৬ জন নগরীর এবং ১৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫৪টি নমুনার মধ্যে ২৫ জন পজিটিভ হয়েছে, এদের মধ্যে ১১ জন মহানগরীর এবং ১৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৫৭টি নমুনার মধ্যে ৪১ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে ৩৪ জন নগরীর এবং ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। শেভরনে ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৩০০ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে, এরমধ্যে ২৯ জন মহানগরীর এবং ১ জন উপজেলার বাসিন্দা। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১টি নমুনার মধ্যে ১ জনের ই পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং তিনি উপজেলার বাসিন্দা।
উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ৮৪ জনের মধ্যে সাতকানিয়ায় ৪ জন, বাঁশখালীতে ৫ জন,আনোয়ারায় ৩ জন, পটিয়ায় ৬ জন, বোয়ালখালীতে ৪ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৯ জন, রাউজানে ১০ জন, ফটিকছড়িতে ১৫ জন, হাটহাজারিতে ১০ জন, সীতাকুন্ডে ৭ জন এবং মিরসরাইয়ে ১১ জন রয়েছেন।
এদিকে গত বুধবার নতুন করে ২৭১ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৯,১২৩ জন। এর আগে ৩০ জুন ৩৭২ জন, ২৯ জুন ৪৪৫ জন, ২৮ জুন ৩৪৬, ২৭ জুন ৬৪ জন, ২৬ জুন ১৫৯ জন, ২৫ জুন ২৪৬ জন, ২৪ জুন ২৪১ জন, ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন (রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন (ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।