২ গোলে পিছিয়ে পড়েও জিতল শেখ জামাল

সাইফ স্পোটিংয়ের বিপক্ষে গোল করার আনন্দ উদযাপন করছেন শেখ জামালের খেলোয়াড়রা

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
দৃষ্টিনন্দন গোলে দলকে এগিয়ে নিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন জন ওকোলি; সাইফ স্পোর্টিং পেল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু রোমাঞ্চের তখনও ঢের বাকি। এক মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে ম্যাচে ফেরা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে পেল আরও এক গোল। দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল শফিকুল ইসলাম মানিকের দল। খবর বিডিনিউজের।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে শেখ জামাল। টানা চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। পাঁচ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট সাইফ স্পোর্টিংয়ের। টানা তিন জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামা শেখ জামাল দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত। উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড ভালিজনোভ ওতাবেকের ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান সাইফ স্পোর্টিং গোলরক্ষক।
দুই মিনিটের মধ্যে গোলের দুটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলা সাইফ স্পোর্টিংয়ের। চতুর্দশ মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা জন ওকোলির ক্রস গোলমুখ থেকে ইকেচুকে কেনেথের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে কর্নার হয়।
পরের মিনিট শাহেদুল আলম শাহেদের লং পাস ধরে টোকায় এগিয়ে নিতে গিয়ে গতির বলের নিয়ন্ত্রণ হারান ওকোলি; সেসময় নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ডের সামনে ছিল কেবল গোলরক্ষক।
২২তম মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় আগের ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে হারানো সাইফ স্পোর্টিং। ওকোলির বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান দিকে ডি-বক্সে ঢুকে মোজাম্মেল হোসেনকে ফাঁকি দিয়ে জায়গা করেন এই মিডফিল্ডার। এরপর ঠা-া মাথায় ডান পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে খুঁজে নেন জাল।
সাত মিনিট পর মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের পায়ে লেগে আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে বসেছিল; অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায় বল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফাহিমের পাস ধরে গতি দিয়ে ডিফেন্ডারদের ছিটকে বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ওকোলি।
৬৬তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে পারত সাইফ স্পোর্টিং। কিন্তু ডি-বক্সে ঢুকে কেনেথ শট নেওয়ার আগে দারুণ সøাইডে বিপদমুক্ত করেন আলাউদ্দিন। একটু পর ওকোলির শট নেওয়ার আগে ছুটে এসে বল গ্লাভসে নিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি জিয়াউর রহমান জিয়া।
পাঁচ মিনিট পর ম্যাচে ফেরা গোল থেকে বঞ্চিত হয় শেখ জামাল। ওতাবেকের কর্নারে শাকিল আহমেদের হেড গোললাইন থেকে হেডেই ফেরান ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। এরপরই নাটকীয়তার শুরু।
এক মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে লিগের ২০১৪-১৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা। ৭৫তম মিনিটে ওতাবেকের ফ্রি কিকে সলোমন কিংয়ের ব্যাক হেড চোখের পলকে জালে জড়ায়। এরপর ডান দিক থেকে ওমর জোবের শট পাপ্পু হোসেন ফিস্ট করার পর বক্সের বাঁ দিকে থাকা নুরুল আবসার দারুণ সাইড ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন। সমতায় ফিরে শেখ জামাল।
শেষ দিকে সাইফ স্পোর্টিংয়ের রক্ষণে বারবার হানা দিতে থাকে শেখ জামাল। ৮৫তম মিনিটে সুলাইমান সিল্লাহ ক্রসে জোবের হেড ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে যায়।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে জোবের শট ডি-বক্সের রিয়াদুল হাসান রাফির হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় শেখ জামাল। পাপ্পুকে বিপরীত দিকে ছিটকে দিয়ে জাল খুঁজে নেন সলোমন। জয় নিশ্চিত হয় মানিকের দলের।