১৭ আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি

মোহাম্মদ রফিক :
দেড়মাস বন্ধ থাকার পর ১৭টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইট চালু হলেও কঠোর বিধিবিধান মানতে হবে যাত্রী, বিমান সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। তবে ঠিক কত তারিখ থেকে ফ্লাইট চালু করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। বুধবার বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) এর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বেবিচক সূত্র জানিয়েছে, ফ্লাইটে ওঠার আগে যাত্রীর গায়ের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি থাকলে তার যাত্রা বাতিল হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে আগামী শনিবার পর্যন্ত প্রায় দেড়মাস বাংলাদেশের সঙ্গে ১৭টি আন্তর্জাতিক রুটসহ অভ্যন্তরীণ সব ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে ।
বুধবার বেবিচক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান,করোনাকে প্রতিরোধ করে ফ্লাইট চালুর সব ধরনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। ফ্লাইট চালু হলেও কঠোর বিধিবিধান মানতে হবে যাত্রী, বিমান সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। তবে ফ্লাইটে ওঠার আগে কোনো যাত্রীর গায়ের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি হলে বাতিল হবে তার যাত্রা।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) এর ওয়েবসাইটে এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সার্কুলারে ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করে নিরাপদে বিমান চলাচল করতে যাত্রী, বিমানবন্দর, বিমান সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের ৩৫টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু হলে বিমানবন্দরের টার্মিনালে একাধিক ফ্লাইটের যাত্রীরা একসঙ্গে থাকতে পারবেন না। প্রতিটি ফ্লাইটে ওঠার আগে যাত্রীদের বোর্ডিং পাস নেওয়ার পর নির্ধারিত এলাকার মধ্যে থাকতে হবে। সবাইকে মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে। বিমানবন্দরে আসার আগে এগুলো পরে আসতে হবে। টার্মিনালে ঢোকার পর যাত্রীরা যে বিমানে করে যাবেন, তারাই নতুন গ্লাভস, মাস্ক দেবে। নতুন মাস্ক ও গ্লাভস পরে ফ্লাইটে ওঠার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হবে।
বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রত্যেক যাত্রীকে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে। এই ফরমে যাত্রীর নাম, বয়স, লিঙ্গ, জন্মতারিখ, বর্তমান ঠিকানা, এয়ারলাইনসের নাম, ফ্লাইট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, শরীরের তাপমাত্রা, মোবাইল ও ই-মেইল নম্বর পূরণ করতে হবে। একইসঙ্গে ফরমে তিনটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ টিক দিয়ে উত্তর দিতে হবে। এক নম্বর প্রশ্নে থাকবে, ‘আপনার (যাত্রী) কি জ্বর বা কফ হচ্ছে?’ দ্বিতীয় প্রশ্নে থাকবে, ‘আপনার কি জ্বর এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে?’ এবং তৃতীয় প্রশ্নে থাকবে, গত ১৪ দিনে কোভিড-১৯ বা এই রোগের কোনো উপসর্গ থাকার কারণে আপনাকে কোনো বিমানবন্দরে বোর্ডিং থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে কি না।
এসব প্রশ্নের যে কোনো একটির উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে সেই যাত্রীকে আর ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ওই যাত্রীকে পরবর্তী চিকিৎসা নিতে হবে। তবে এ তিনটি প্রশ্নের উত্তর ‘না’ হলেও যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে তাকে আর ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হবে না।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থপনা পরিচালক এমডি মো. মোকাব্বির হোসেন জানান, বেবিচকের অনুমতি পাওয়া গেলে চালু হবে যাত্রীবাহী ফ্লাইট। ফ্লাইট চালুর ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুুতি রয়েছে বিমানের বলেও জানান তিনি।