২৩৮ ইলেক্টোরাল ভোটে এগিয়ে বাইডেন, ট্রাম্পের দখলে ২১৩

সুপ্রভাত ডেস্ক :

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির খবর অনুযায়ী,  ইলেক্টোরাল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। তার সম্ভাব্য ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা  ২৩৮টি। বিপরীতে ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভোট ২১৩টি। তবে সম্ভাব্য এই ফল থেকে বলা যাচ্ছে না, কে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।

 যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে একসঙ্গে ভোট হলেও মূলত সবারই নজর থাকে ব্যাটলগ্রাউন্ড খ্যাত কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের দিকে। এগুলোকে বলা হয় সুইং স্টেট। নির্বাচনী ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এ অঙ্গরাজ্যগুলো। সুইং স্টেট  মিশিগান, জর্জিয়া, টেক্সাস ও উইসকনসিনে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। পেনসিলভানিয়ায়, ওহাইও, নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং নর্থ ক্যারোলাইনায় এগিয়ে রয়েছেন জো বাইডেন। ফ্লোরিডায় চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

কানেকটিকাট (৭), ডেলওয়ার (৩), ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়া (৩), ইলিনয় (২০), ম্যারিল্যান্ড (১০), ম্যাসাচুসেটস (১১), নিউ জার্সি (১৪), নিউইয়র্ক (২৯), রোডি আইল্যান্ড (৪), ভারমন্ট (৩), ভার্জিনিয়ায় (১৩) সম্ভাব্য বিজয়ী জো বাইডেন।

অন্যদিকে অ্যালাবামা (৯), আরকানসাস (৬), ইন্ডিয়ানা (১১), কেন্টাটি (৮), লুইজিয়ানা (৮), মিসিসিপি (৬), নর্থ ডাকোটা (৩), ওকলোহোমা (৭), সাউথ ডাকোটা (৩), টেনেসি (১), ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া (৫), ওয়েমিং (৩), কানসাস (৯) জয় পাওয়ার কথা ট্রাম্পের।

‍যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি নিশ্চিত করতে হবে। মার্কিন বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ভোটের পরিবেশ ছিল উৎসাহপূর্ণ ও ইতিবাচক। পরিস্থিতি ছিল অনেক শান্ত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট প্রদান করেন আমেরিকানরা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে অনেকগুলো অঙ্গরাজ্যে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। ব্যাটলগ্রাউন্ড ওহাইয়ো ও নর্থ ক্যারোলাইনাতে সাড়ে সাতটার মধ্যে এবং পরবর্তী পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হওয়ার কথা বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্র। সবশেষে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হয় আলাস্কাতে। সেখানে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১টায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে।

মঙ্গলবার ভোটের দিনের আগেই ১০ কোটি ২ লাখ মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। যা ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মোট ভোটারের ৭৩ শতাংশ। ইলেকশন প্রজেক্টের জন্য তথ্য সংগ্রহকারী ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার অধ্যাপক মাইকেল পি. ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি হতে পারে ৬৭ শতাংশ। এমনটি হলে এক শতাব্দীর বেশি সময়ের মধ্যে দেশটির সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতির রেকর্ড হবে।