হাতেগোনা ক্রেতা, হতাশ বিক্রেতা ও ইজারাদার

বাজার থেকে পছন্দের গরু নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন কিশোরটি। মোমিন রোড থেকে গতকাল দুপুরে তোলা ছবি- সুপ্রভাত
পোস্তারহাট ছাগলের বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীর ছাগলের বাজারে বেচাকেনার অবস্থা খুবই করুণ। সিটি করপোরেশনের স্থায়ী ছাগলের বাজার দেওয়ানহাট পোস্তারহাটে শেষ মুহূর্তেও হাতেগোনা ক্রেতা। হাটে ৪ হাজার ছাগলের মধ্যে বুধবার পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪৮০টি। ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র একদিন। এই হাটে আরও সাড়ে ৩ হাজার ছাগল অবিক্রিত রয়ে গেছে। এতে হতাশায় ভেঙে পড়েছেন ইজারাদার ও বিক্রেতারা।

নগরীর ৭টি হাটে বৃহস্পতিবার থেকে পশু বেচাকেনা শুরু হয়। কিন্তু গত ছয় দিনেও পোস্তারহাটে বেচাকেনা জমেনি। বুধবার বেচাকেনা জমবে বলে আশা করেছিলেন বিক্রেতারা। কিন্তু হাটে এসেছে হাতেগোনা ক্রেতা। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২২০টি ছাগল বিক্রি হয়েছে।
পোস্তারহাটের ইজারাদার খুরশিদ আলম সুপ্রভাতকে বলেন, প্রথম পাঁচদিন পর্যন্ত হাটে তেমন ক্রেতার দেখা মেলেনি। আশা করেছিলাম বুধবার হাট জমবে। কিন্তু আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার হাট আর তেমন জমবে না। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় অনেকে এবার কোরবানি দিচ্ছে না। যারা গত বছর ছাগল দিয়ে কোরবানি দিয়েছেন হয়তো তাদের বেশির ভাগ এবার করছেনই না। যারা গতবার গরু দিয়ে কোরবানি দিয়েছেন তাদের অনেকে এবার ছাগল দিয়ে করছেন।
জানা গেছে, ক্রেতারা ছাগলের দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতার দামের তুলনায় অর্ধেক। ক্রেতারা ১৫ হাজার টাকার ছাগলের দাম বলছেন ৮ হাজার টাকা।
সিরাজগঞ্জ থেকে পোস্তারহাটে ৫টি ছাগল নিয়ে এসেছেন ইউসুফ আলী। এর মধ্যে একটি ছাগল বিক্রি করেছেন। সুপ্রভাতকে ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমি গতবছর এই হাটে ৭টি ছাগল এনেছিলাম। সবকটা বিক্রি করে বাড়িতে ফিরেছি। কিন্তু এবার এ পর্যন্ত মাত্র একটি ছাগল বিক্রি করেছি। ঈদের বাকি আছে আর দুইদিন। কিন্তু হাটে ক্রেতা আসছে হাতেগোনা। এবার সবকটি ছাগল বিক্রি করতে পারবো কিনা বুঝতে পারছি না।।
বগুড়া থেকে আসা বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, এবার হাটের খুব শোচনীয় অবস্থা। তেমন ক্রেতা দেখা নেই। যেসব ক্রেতা আসছেন, তারা ১৫ হাজার টাকার ছাগলের দাম দিতে চাচ্ছেন ৮ হাজার টাকা। এবার অর্ধেক লোকসান দিয়ে ছাগল বিক্রি করতে হবে।
এদিকে নগরীর পশুর হাটগুলো ঈদের দিন পর্যন্ত চালু থাকবে।