সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু

খাগড়াছড়ি ও বাঁশখালী
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি ও সংবাদদাতা বাঁশখালী :
খাগড়াছড়ি ও বাঁশখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, খাগড়াছড়িতে ট্রাক-থ্রি হুইলারের সংঘর্ষে নুসরাত জাহান (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের আলুটিলা বড়ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহত নুসরাত জাহান জেলার মাটিরাঙা উপজেলার ভূইয়াপাড়ার হারুনুর রশীদের মেয়ে। সে কলেজে ভর্তির কাজে মায়ের সাথে খাগড়াছড়ি সদরে আসছিল। আহতরা হলো, জেলার মাটিরাঙা উপজেলার ভূইয়াপাড়ার মোছা তৈয়বা, রামগড়ের গর্জনতলীর হৈমন্তী শীল, খোকন চন্দ্র শীল, জেলা সদরের খাগড়াপুরের আলো রাণী ত্রিপুরা ও কুসুম রাণী ত্রিপুরা।
পুলিশ সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর জানান, আলুটিলা বড়ব্রিজ এলাকায় ট্রাক-থ্রি হুইলারের সংঘর্ষে নিহত কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ সদর হাসপাতালে রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাহাড়ি ঢালু রাস্তায় অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাক ও থ্রি হুইলারের চালকরা পলাতক রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পূর্ণ জীবন চাকমা জানান, আহতদের মধ্যে কুসুম রাণী ত্রিপুরাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। বাকীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে, বাঁশখালী প্রধান সড়কের চেচুরিয়া বটতল এলাকায় গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় মাটি ভর্তি এক ড্যাম্পারের চাপায় মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী (৫০) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহীদ নামের এক ব্যক্তির ড্যাম্পারটি কৃষি জমি থেকে মাটি নিয়ে প্রধান সড়কে যাওয়ার সময় অতর্কিত চাপা দিয়ে চলে গেলে জসীম উদ্দিন প্রধান সড়কে নিথর হয়ে পরে থাকেন। ওই অবস্থায় সিএনজি অটোরিকশার এক চালক তার গাড়ি করে জসীমকে বাঁশখালী হাসপাতালে পৌঁছে দেন। ওখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের সরল গ্রামের মৃত শফিকুর রহমান মাস্টারের ছেলে। তিনি রাউজান উপজেলার বেসরকারি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। তার ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো. বোরহান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘গাড়ি চাপায় নিহত জসীম উদ্দিন আমার ছোট ভাই। তাই হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসারের অনুমতি নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’