স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রধানন্ত্রীর মহৎ উদ্যোগ

করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন

গতকাল দেশব্যাপী টিকা প্রদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেও করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। টিকা প্রদান কার্যক্রম বিভিন্ন উপজেলা অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের জেলা প্রতিবেদক ও উপজেলা প্রতিনিধিরা এই সংবাদ পাঠান।

রাউজান

রাউজানে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয় গতকাল দুপুর ১২ টায়।

রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. নূর আলম দ্বীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ।উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্জ নুর মুহাম্মদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, পৌর মেয়র প্রার্থী জমির উদ্দিন পারভেজ, প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, আবদুল জাব্বার সোহেল, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিক্সন চৌধুরী, শিক্ষা অফিসার আবদুল কুদ্দুছ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান চৌধুরী, রাউজান প্রেসক্লাব সভাপতি শফিউল আলম, কাউন্সিলর আলমগীর আলী, কাজী মুহাম্মদ ইকবাল, শওকত হাসান, জানে আলম জনি, অ্যাডভোকেট সমীর দাশ গুপ্ত, আজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার চৌধুরী, মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

রাউজানে প্রথম পর্যায়ে সাড়ে ৯ হাজার জনসাধারণ ভ্যাকসিন পাবেন। গতকাল ১০ জনকে প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এর মধ্যে রাউজান প্রেস ক্লাব সভাপতি শফিউল আলম আলম উদ্বোধনী দিন টিকা গ্রহণ করেন।

খাগড়াছড়ি

সারা দেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতে  কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির প্রথম টিকা নিয়েছেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা সদর হাসপাতালে এই টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, এই টিকাদান কর্মসূচি সারা বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য যে আশ্বাস দিয়েছেন তা পূরণ করেছে আজ। বিশ্বের অনেক দেশেই এখনো টিকা পায়নি। প্রধানমন্ত্রী  চেষ্টায় সফল হয়েছে। উদ্বোধনের পরেই জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাস টিকা নেন।

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাস জানান, আজকে প্রথম ধাপে ১৬৮ জনকে এই টিকা দেওয়া হবে। এটির তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। আমরা এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সমস্যা পাইনি।

বোয়ালখালী

বোয়ালখালী   উপজেলা করোনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। সকাল ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের হল রুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উদ্বোধক ছিলেন সংসদ সদস্য  মোছলেম উদ্দিন আহমদ। আরও বক্তব্য রাখেন বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান আলহাজ মো নুরুল আলম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল, চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মান্নান মোনাফ।

বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা  কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জিলুর রহমান প্রথম টিকাদানের মাধ্যমে এই টিকা দান কর্মসূচির  উদ্বোধন করা হয়। এরপর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম  সেলিম, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি  মো. মোজাম্মেল হক, বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল করিম, ওসি তদন্ত আবুল কালাম, ডা. তাপস কান্তি মজুমদার, উপজেলা কৃষি অফিসার আতিক উলাহ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো নুরুল ইসলামসহ উপজেলা বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, থানা এস আই ও পুলিশ সদস্যকে টিকা প্রদান করা হয়।

মিরসরাই

মিরসরাইয়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সকাল ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন করোনা টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের উদ্বাধন করা হয়।

এদিকে চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে করোনার টিকা গ্রহণ করেন মিরসরাইয়ের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। পরে একে একে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা গ্রহণ করেন মিরসরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. নুরুল আলম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. সুুমন ঘোষ কমফোর্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, , অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য প্রদেশ কুমার বড়–য়া, গৃহিণী রিংক ুবড়–য়া প্রমুখ।

টিকা কার্যক্রমের পরিচালনা করেছেন দুইটি টিকা দান টিমের ৪জন কর্মীও চট্টগ্রামের যুব রেড ক্রিসেন্ট মুক্ত দলের সদস্য ৮ জন স্বেচ্ছাসেবক।

করোনা টিকা নেওয়া গৃহিণী রিংকু বড়–য়া জানান, আমার পরিবারের সবার সুরক্ষার জন্য আমি টিকা নিয়েছি। আমার স্বামী, দেবর এবং আমি টিকা নিয়ে আমরা সবাই সুস্থ আছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালের পৃথক দুটি বুথে ১৭১ জনকে টিকা দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তি, চিকিৎসক এবং সাধারণ লোকজন রয়েছেন। শনিবার বিকাল পর্যন্ত নিবন্ধন হয়েছে ৪৯৪। মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে উন্নত দেশের তুলনায় আমরা আগে ভ্যাকসিন পেয়েছি। সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন ভাবে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে এটার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মহামারি থেকে বাঁচতে হলে করোনা ভ্যাকসিন নিতে হবে। আপনি সুরক্ষা থাকুন, দেশকে সুরক্ষা করুন। টিকা কার্যক্রমে উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. মিনহাজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার রেজাউল করিম, মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইনসহ হাসপাতালের বিভিন্ন ডাক্তার ও নার্স।

চন্দনাইশ

চন্দনাইশে করোনার প্রথম টিকা নিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আবদুল জব্বার চৌধুরীর শরীরে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে চন্দনাইশে করোনা টিকা প্রয়োগের উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

ভ্যাকসিন প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মো. আবদুল জব্বার চৌধুরীর ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে¡ বিশেষ ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মওলানা মো. সোলাইমান ফারুকী, বরকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান, হাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ক্যাপ্টেন ডা. খায়ের উদ্দিন বরকত,  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু রাশেদ মো. নুরুদ্দিন, মেডিকেলের টেকনোলজিস্ট ইপিআই রবিউল ইসলামসহ সাংবাদিক ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

টিকা নেয়ার পর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আবদুল জব্বার চৌধুরী জানান, ভালো আছি। টিকা নেয়ার পর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছিল তা কেটে গেছে। এই টিকাকে কেন্দ্র করে অনেকেই অনেক গুজব রটানোর চেষ্টা করেছেন। গুজবে কান না দিয়ে টিকা গ্রহণ করার আহবান জানান।

নাইক্ষ্যংছড়ি

করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করার পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন অধ্যাপক মো. শফিউলাহ ও  নাইক্ষ্যংছড়িতে স্বাস্থ্য কমপেক্সের কর্মকর্তা আবু জাফর মো, ছেলিম, ডা. রায়হান, ডা রনজন চৌধুরী, ডা. তপন  করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

গতকাল সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন করোনা প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা উপজেলা চেয়ারম্যন অধ্যাপক মো. শফিউলাহ, করোনার কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি । এসময় উপস্থিত ছিলেন নাক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কাজল, দপ্তর সম্পাদক জয়নাল আবেদীন টুক্কু মো. ইউনুছ প্রমুখ।

ইউএনও বলেন, ‘নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার  অবস্থান অন্যন্য জেলা উপজেলার থেকে তুলনামূলক অনেক ভালো।

আর এদিকে ডা, এজেডএম ছলিম বলেন, ভ্যাকসিন অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধিত হচ্ছে। যদি অ্যাপসের মাধ্যমে কেউ নিবন্ধন না করতে পারেন তাহলে আমাদের আরো নির্দেশনা আছে তারা ইউনিয়ন বা উপজেলায় গিয়ে তথ্য সেন্টারের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন এবং  ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।

উদ্বোধনের প্রথম দিনে শিক্ষক, চিকিৎসক,আইনশৃঙ্খলাবাহিনী পুলিশ-বিজিবি, নার্স ও জনপ্রতিনিধি  ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

দীঘিনালা

দীঘিনালায় কোভিড ১৯ টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে কোভিড ১৯ টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যাহর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাজালা পারভীন রুহী, দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জওহর লাল দেওয়ান।

এসময় প্রথম টিকা নেন দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী শুদ্ধধন চাকমা। পরে টিকা নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কাশেম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যাহ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাজালা পারভীন রুহী, দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেবসহ অন্যরা।

এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের অফিস সহকারী শুদ্ধধন চাকমা জানান, টিকা গ্রহণ করার পর আমি পুরোপুরি সুস্থ আছি।

দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা তনয় তালুকদার জানান, আজকে রেজিস্ট্রেশন করে এসএমএস পাওয়া ১ শ জনকে দেয়া হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।