স্থানীয়রা নালাকে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত করেছে

সৈকত খাল পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রশাসক সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, দোকান-পাট ও বাসা-বাড়ির সামনে খাল ও নালা-নর্দমায় পলিথিন, প্লাস্টিক বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলি তা হলে কিছুতেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না। যারা এ ধরনের অপকর্ম করছেন, তারা যদি এ কাজ থেকে বিরত না হন তাদের জরিমানসহ আইনের আওয়াত আনা হবে।

তিনি গতকাল নগরীর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে সৈকত খাল পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা যতই নালা-নর্দমা ও খাল পরিষ্কার, করি না কেন, দেখা যাচ্ছে সেগুলো স্থানীয়রা ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন-প্লাস্টিকের ভাগাড়ে পরিণত করেছে। এমনকি কর্ণফুলী তীরবর্তী ও উপকূলীয় এলাকায় যত্রতত্র গৃহস্থালি ও শিল্প বর্জ্য ফেলা হচ্ছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খাল-নালা-নর্দমা ও পানি চলাচলের পথ থেকে পলিথিন প্লাস্টিক বর্জ্য ও আবর্জনা টনে টনে সরিয়ে নিয়ে পানি চলাচলের পথ উন্মুক্ত করেছি, কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই সেগুলো পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। এ অপকর্ম স্থানীয়রা করেছে। এখন থেকে যার যার বাড়ি ও দোকান পাটের সামনের খাল ও নালা-নর্দমা নিজেরাই পরিষ্কার রাখবেন।

তিনি আরো বলেন, যারা সৈকত খালের উপর পারাপারের জন্য বিনা অনুমতিতে স্ল্যাব স্থাপন ও ওয়াসা খলের মধ্যে যে পাইপ লাইন করেছে সেগুলো ১৯ নভেম্বরের মধ্যে অপসারণ ও সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এসময়ের মধ্যে স্ল্যাব না সরালে সিটি কর্পোরেশন ভেঙে ফেলবে।

তিনি আরো বলেন, এই করোনাকালে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব লক্ষণীয়। বর্ষা অতিক্রান্ত হলেও শীতকালে কোথাও যেন পানি জমাট ও চলাচলের পথ আটকে না থাকে সে জন্য নিজ উদ্যোগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এডিস মশা প্রজনন যাতে না হয় সে জন্য নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় তিনি মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য নগরবাসীকে পরামর্শ দেন। এ সময়  চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এলাকাবাসীর কাছে করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন হারুনুর রশিদ, সুলতান মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, সমির মহাজন লিটন, মোহাম্মদ কবির, মো. সামসুদ্দিন, মো. সেলিম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্চন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি