সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির কঠোর ভূমিকা চাই

আজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্ত হোক-এটি নগরবাসীর প্রত্যাশা। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। নির্বাচনে অনেক ভোট কেন্দ্র ঝুঁকি প্রবণ- এরকম রিপোর্ট গণমাধ্যমে এসেছে। নির্বাচনী প্রচারণার প্রথমদিকে কিছু সহিংস ঘটনা এবং প্রাণহানি ঘটলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় মোটামুটি শান্তি বজায় ছিলো। মিছিল, সমাবেশের পাশাপাশি ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রচার-প্রচারণায় নানা বৈশিষ্ট্য ছিলো। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে নগরবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন। রোববার সার্কিট হাউসে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে বলেন, নির্বাচনী লঙ্ঘন সংক্রান্ত ৫৬ অভিযোগের মধ্যে ৩৫টির নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। নির্বাচনের দিন এবার সাধারণ ছুটি থাকছে না। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, কারসাজিমুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে বলে সুজন সম্পাদক সাংবাদিকদের জানান। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার চসিক নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ অভিহিত করে ইসির নিয়ন্ত্রণ না থাকলে নির্বাচন ভ-ুল হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো, তবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌরসভা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্ত হলে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে রায় প্রদান করবেন। নির্বাচনে সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, বিভিন্ন দলের এজেন্টদের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিএনপি মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন তার দলের আটককৃত নির্বাচনী এজেন্টদের মুক্তি দাবি করেছেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন সবিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক উন্নয়ন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার চট্টগ্রামকে ঘিরে বড় বড় প্রকল্প নিয়েছে। তাই সৎ, যোগ্য ও পরিশ্রমী এবং জনহিতে সংকল্পবদ্ধ জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে নগরবাসীকে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে সচেষ্ট হতে হবে। নির্বাচনের পূর্বাপর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে রাজনৈতিক দল, কর্মী ও প্রার্থীর ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।