শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় যুবকরা কাজ করছে

এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের আলোচনা

‘টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠের লক্ষ্যমাত্রাগুলো বিশেষত এসডিজি ২-৬ ও ১৩ শিশুদের সুরক্ষা ও তাদের উন্নয়নের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কাজেই এসডিজি অর্জনে যতই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক না কেন শিশুদের সুরক্ষা, তাদের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত না করে কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। বাংলাদেশে জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার রিপোর্টে উঠে এসেছে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫১.৪ শতাংশ শিশু বাল্য বিবাহের শিকার হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে তারা পরবর্তীতে স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়ছে এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্ম অপুষ্টি, রুগ্ন স্বাস্থ্য ও অস্বাভাবিক গড়নসহ নানা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে’। এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘শিশু অধিকার ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় মূখ্য আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ইউনিসেফ চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী মাধুরী ব্যানার্জী।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাবের সঞ্চালনায় গতকাল ২৩ নভেম্বর এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম ফেইজবুক পেইজ থেকে সম্প্রচারিত ভার্চুয়াল আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মানসম্পন্ন শিক্ষা কর্মসূচির সমন্বয়ক ড. মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন।
প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট নৌ-প্রকৌশলী ড. সাজিদ হোসেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের জেন্ডার স্ট্যাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শারিন শাহজাহান নাওমী, সমাজকর্মী শাজমুন নাহার, নগরফুলের প্রতিষ্ঠাতা বায়েজিদ সুমন, কল্যাণ পরিচালিত সাকসেস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আরিফ উদ্দীন, মো. রিজুয়ান মোজকুরী, রায়হানুল ইকবাল ইভান, রাফিউ আহমেদ, নুরুল আমিন, কাজী জাহিদ প্রমুখ। ড. সাজিদ হোসেন বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যুবরা যেভাবে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে তা অসাধারণ। নোমান উল্লাহ বাহার বলেন, প্রান্তিকতায় বসবাসরত শিশুদের উন্নয়নে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। আগামী বিশ্ব কেমন হবে তা শিশুদের বেড়ে উঠা, সেবা, মেধার বিকাশে ভূমিকা ও প্রভৃতির উপর নির্ভর করছে। এইজন্য শিশুদের বহুমাত্রিক উন্নয়নে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। বিজ্ঞপ্তি