শিরোপার আরো কাছে বায়ার্ন

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
খেতাব নির্ণায়ক না হলেও অনেকাংশে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ম্যাচটি। ম্যাচটা জিতলে বায়ার্নের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে পারত বরুসিয়া। একইসঙ্গে লিগের শেষ ল্যাপটা হয়ে উঠত আরও আকর্ষক। কিন্তু দর্শকহীন সিগন্যাল ইদুনা পার্কে বাস্তবে হল উলটোটাই। জোসুয়া কিমিচের একমাত্র গোলে ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে খেতাবের আরও কাছে পৌঁছে গেল বাভারিয়ানরা। টানা অষ্টমবার তাদের শিরোপা দখল এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা।
মঙ্গলবার সিগন্যাল ইদুনা পার্কে গোটা ম্যাচে দ্যুতি ছড়াতে ব্যর্থ বরুসিয়ার প্রতিশ্রুতিমান তারকা আর্লিং হ্যালান্ড। ঘরের মাঠে ব্যর্থ তার দলও। কোভিডের কারণে লিগ স্থগিতের আগে প্রথম পর্বের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে ডর্টুমুন্ডকে ৪ গোলে হারিয়েছিল হান্স ফ্লিকের দল। নিষ্প্রাণ ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষদিকে এদিন কাজের কাজটি করে যান জোসুয়া কিমিচ। ৪৩ মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দুরন্ত চিপ শটে বায়ার্নের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন জার্মান মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধেও একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েছিল বায়ার্ন। তবে তিনকাঠির নীচে ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক বুর্কি দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠায় আর ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারেনি তারা। উলটোদিকে একটি ক্ষেত্রে পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় ইয়েলো ব্রিগেড। হ্যালান্ডের শট বক্সের মধ্যে বায়ার্ন ডিফেন্ডার বোয়েতাং’য়ের হাতে লাগলেও তা রেফারির নজর এড়িয়ে যায়। এরইমধ্যে ৭৩ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ডর্টমুন্ডের সেরা তারকা হ্যালান্ডকে। এরপর ম্যাচে ফেরার রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় হোম টিমের।
এক গোলে ম্যাচ জিতে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে সফরকারী দল। একইসঙ্গে লিগ শীর্ষে ৭ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করে খেতাব কার্যত নিশ্চিত করে ফেলে তারা। বায়ার্নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেতাব জয়ের লক্ষ্যে ভালোই এগোচ্ছিল বরুসিয়া। কিন্তু এই হারটাই অনেকটা পার্থক্য গড়ে দিল লিগের। এই জয়ের ফলে ২৮ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থা মজবুত করল লেওয়ানদোস্কিরা। অন্যদিকে সমসংখ্যক ম্যাচে ৫৭ পয়েন্টেই রইল বরুসিয়া।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।