শচীনের ছেলেও কি স্বজনপোষণের সুবিধা পান?

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
ভারতীয় ক্রিকেটও কি নেপটিজমের শিকার! এমন প্রশ্ন সটান উড়িয়ে দিচ্ছেন স্বয়ং আকাশ চোপড়া। সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর থেকেই স্বজনপোষন নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। সিনেমা জগৎ তো বটেই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছেন আদনান সামি, সোনু নিগমরা। বলিউডে সমর্থকদের ক্ষোভের লক্ষ্যে আলিয়া ভাট, সোনম কাপুররা।
এমন আবহে প্রশ্ন ওঠে যায়, স্বজন পোষণ থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলও মুক্ত কীনা। শচীন পুত্র অর্জুনকে উদ্দেশ্যে করে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে।
এরপরেই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এই বিষয়ে মুখ খুললেন আকাশ চোপড়া। ‘অর্জুনকে নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে। তবে শচীনের ছেলে বলেই ওকে কেউ সবকিছু প্লেটে করে সাজিয়ে দেয়নি। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট দলে ও মোটেই সহজে সুযোগ পায়নি। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে এমন কোনো নির্বাচন ঘটেনি। যাকেই জাতীয় দলে নেওয়া হয়েছে তা কেবলমাত্র পারফরমেন্স এর কারণেই।’
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইয়ুথ টেস্ট ম্যাচে ২০১৮ এ অনূর্ধ্ব-১৯ যুব দলে সুযোগ পেয়েছিলেন অর্জুন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নেট বোলার হিসাবে বোলিং করলেও এখনো শচীন-পুত্রের কাছে কোনো আইপিএল চুক্তি নেই।
শুধু আইপিএলই নয়, জাতীয় দলের সঙ্গে বিদেশ সফরে গিয়েও নেট বোলারের ভূমিকা পালন করেন অর্জুন। ইংল্যান্ডে বেশ কয়েকবার গিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের নেটে বোলিং করে জনি বেয়ার্স্ট কেও আহত করেছিলেন একবার। তারপর সেই সেশনে আর ব্যাটিংই করেননি ইংল্যান্ডের তারকা। ২০১৭ সালে মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে জাতীয় মহিলা দলের অনুশীলনে নেট বোলার হিসাবেও দেখা গিয়েছে অর্জুনকে। তবে এখনো সিনিয়র দলের জন্য বিবেচিত হননি তিনি।
শচীনের ছেলে যে স্বজনপোষণের জন্য জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমে ঢুকতে পারছেন, সেকথা স্বীকার করছেন না আকাশ। এই প্রসঙ্গে তিনি সুনীল গাভাস্কার পুত্র রোহন গাভাস্কারের তুলনা টেনে এনেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেললেও রোহন গাভাস্কার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশিদিন খেলতে পারেননি। ‘রোহনের দিকে তাকানো যাক। সুনীল গাভাস্কারের পুত্র হওয়ার সুবাদে ও তো দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলতে পারত। সেরকম কিন্তু হয়নি। আর ও যখন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিল সেই সময় বাংলার হয়ে ধারাবাহিকভাবে ভাল পারফর্ম করছিল। এসব কথা ভুলে যাও, ওর পদবী গাভাস্কার হওয়া সত্ত্বেও কিন্তু মুম্বই রঞ্জি টিমে জায়গা পায়নি।’ বলছেন আকাশ চোপড়া।
খবর : ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস’র।