উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষে চারজন নিহত

নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া :

উখিয়ার কুতুপালংয়ের গভীর জঙ্গলে প্রতিষ্ঠিত লম্বাশিয়া ক্যাম্পের সশস্ত্র মুন্না গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড গিয়ার উদ্দিনকে অবশেষে গ্রামবাসীরা গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে। এসময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গিয়াস উদ্দিনের মা বাবাও ঘটনাস্থলে মারা গেছে। এদিকে উত্তেজিত রোহিঙ্গারা মুন্না গ্রুপের আরেক সদস্যকে জবাই করে হত্যা করেছে বলে লম্বাশিয়া ক্যাম্পের আজিজুল হক, ছৈয়দ নুর ও শামশুজ্জোহা নামের তিন জন রোহিঙ্গা জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় লম্বশিয়া মোরে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার আতংকে অনেকেই পাশর্^বর্তী জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য মিয়ানমারের বাস্তুচু্যৃত রোহিঙ্গারা কুতুপালং আশ্রয় নিলে জায়গা সংকুলনা না হওয়ায় বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে উখিয়ার গভীর জঙ্গলখ্যাত লম্বাশিয়ায় পুনর্বাসন করে। সেখানে মুন্না গ্রুপ গড়ে তুলে একটি সশস্ত্র বাহিনী। এ বাহিনীর মাধ্যমে মুন্না গ্রুপ চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসছিল। অপহরণ করে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় ছিল তার প্রধান বাণিজ্য। তার কথামতো টাকা না দিলে জবাই করে হত্যা করা হতো বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রোহিঙ্গা জানিয়েছেন।
লম্বাশিয়া এলাকার একজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গা শিবিরের বিভিন্ন এলাকায় স্বর্ণ ও মাদককে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্না গ্রুপসহ কয়েকটি গ্রুপ। ইতোমধ্যে তাদের হাতে কয়েকজন রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মুন্নার বড় ভাই গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে রোহিঙ্গারা। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্যাম্প ও উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গিয়াস উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করেছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ জানিয়েছেন, গণপিটুনির ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করা হবে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।