রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে ইউএনডিপি, ইউএনএইচসিআর-এর সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ বাড়লো

সুপ্রভাত ডেস্ক :

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) মেয়াদ বৃদ্ধিতে মিয়ানমার ইউনিয়ন সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁচেছে।

ইউএনএইচসিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ ২০২১ সালের জনু পর্যন্ত বাড়ানোর ব্যাপারে সোমবার নেপিডোতে মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা মন্ত্রনালয় এবং ইউএনডিপি এবং ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধিগণ স্ব স্ব পক্ষে নথিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা। পাশাপাশি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের তিনটি জনপদে বসবাসকারী সব সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য পুনরুদ্ধার এবং সহনশীলতা ভিত্তিক উন্নয়নে সহায়তা করা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৬ জুন এই ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকটি স্মাক্ষরিত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।

চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোকে স্বাগত জানিয়ে ইউএনডিপি এবং ইউএনএইচসিআর মন্তব্য করেছে- রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ এখনও শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পক্ষে উপযুক্ত নয়। এ অবস্থায় এই সমঝোতা স্মারক ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপিকে মংডু এবং বুথিডং শহরতলি পর্যন্ত ১২০টিরও বেশি গ্রামে কার্যকম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। ফলে, ওই এলাকার মানুষের অগ্রাধিকার নিয়ে ২ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির সাথে পরামর্শ করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতির উন্নয়নে কাজ এগিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর জানায়, ২০১৮ সালে প্রাথমিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর, পানি, স্কুল ও রাস্তাঘাট উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ এবং আয়বর্ধক প্রকল্পসমূহের পাশাপাশি কমিউনিটি অবকাঠামো উন্নয়নসহ মোট ৭৫টি দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প (কিউআইপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এখন কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে।