যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পেল জনসনের এক ডোজের টিকা

Coronavirus Covid-19 Protection and Vaccination. Closeup of portrait, doctor with a bottle of vaccine. Tittle on bottle "Covid-19 VACCINE"

সুপ্রভাত ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র সরকার জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দিয়েছে, যা এক ডোজ করে নিলেই চলবে। এর ফলে আগামী সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও লাখ লাখ নাগরিককে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে আশা করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। খবর বিডিনিউজের।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন শনিবার প্রাপ্তবয়স্কদের (১৮ বা তার বেশি বয়সী) জন্য জেঅ্যান্ডজের এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে শুক্রবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি প্যানেল এ টিকার অনুমোদন দেওয়ার জন্য সর্বসম্মত সুপারিশ করে।
গতকাল রোববার অথবা আজ সোমবার থেকে জনসনের টিকা বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে পাঠানো শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসের তিনটি টিকার অনুমোদন দিল। এর আগে ফাইজার/বায়োএনটেক ও মর্ডানার টিকার অনুমোদন দিয়েছিল দেশটি। ওই দুই কোম্পানির টিকা নিতে হয় দুই ডোজ করে।
যুক্তরাষ্ট্র অনুমোদন দেওয়ার পর জনসনের টিকা এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশেরও অনুমোদন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই অনুমোদনের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘এটা যুক্তরাষ্ট্রের সবার জন্য আনন্দের খবর। একটি উৎসাহজনক উন্নয়ন।’
এর পাশাপাশি সবাইকে সতর্কও করছেন তিনি, বলেছেন, ‘লড়াই শেষ হতে এখনও অনেকটা পথ বাকি।’
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা আজকের খবর উদযাপন করছি, আমি সব আমেরিকানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- আপনারা হাত ধোঁয়া চালিয়ে যান, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন আর মাস্ক ব্যবহার করতে থাকুন।
‘অনেকবার যা বলেছি, নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি এখনও আবার খারাপ হয়ে পড়তে পারে আর এই উন্নতি উল্টে যেতে পারে।’
বিবিসি জানিয়েছে, জেঅ্যান্ডজের টিকাটি ফাইজার ও মর্ডানার টিকার তুলনায় দামে সাশ্রয়ী হবে এবং ফ্রিজারের বদলে সাধারণ ফ্রিজেই এটি সংরক্ষণ করা যাবে।
ট্রায়ালে দেখা গেছে এ টিকাটি গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধ করতে পারে। তারপরও সামগ্রিকভাবে টিকাটির কার্যকারিতা ৬৬ শতাংশ।
বেলজিয়ামের কোম্পানি জানসেন টিকাটি তৈরি করেছে। কোম্পানিটি জুনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ কোটি ডোজ টিকা দিতে সম্মত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কানাডাও জেঅ্যান্ডেজের টিকার জন্য ক্রয়াদেশ দিয়েছে, আর কোভ্যাক্স কর্মসূচীর মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোতে পাঠানোর জন্য আরও ৫০ কোটি ডোজের জন্যও ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে।