মেসির জোড়া গোলে জিতলো বার্সা

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
দলের প্রতি দায়িত্ববোধ বোধহয় একেই বলে। দিনকয়েক আগেও যে ক্লাবের বিরুদ্ধে গিয়ে রণংদেহী মনোভাব, সেই বার্সেলোনার হয়েই প্রাক-মরশুমের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে জোড়া গোল এল লিওনেল মেসির পা থেকে। আর্জেন্তাইন বুঝিয়ে দিলেন হাজার হোক দলের প্রতি দায়িত্ববোধে তিনি একশো শতাংশ অটল রয়েছেন। মেসির জোড়া গোলের পাশাপাশি গোল করলেন বায়ার্ন ফেরত ফিলিপ কৌতিনহো।
প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে তারাগোনার বিরুদ্ধেও স্পটকিক থেকে গোল করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান। সবমিলিয়ে সুয়ারেজের অনুপস্থিতিতে মেসির পাশে আপফ্রন্টে আরও একবার উজ্জ্বল কৌতিনহো। মরশুম শুরু করার আগে নয়া জোচ রোনাল্ড কোম্যান আশাবাদী হতেই পারেন মেসি-কৌতিনহো যুগলবন্দী দেখে। ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে সুয়ারেজকে বাদের খাতায় রাখা কোম্যান দ্বিতীয় ম্যাচেও মাঠে নামালেন না ঊরুগুয়ে স্ট্রাইকারকে। সুয়ারেজের জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার জল্পনা তৈরি হলেও আপাতত বার্সাতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তবে কোম্যানের পরিকল্পনায় যে তিনি নেই সেটা মোটামুটি প্রীতি ম্যাচ দেখে পরিষ্কার। এদিন ম্যাচের ২১ মিনিটে কৌতিনহোর প্রথম গোলের নেপথ্য নায়ক সেই মেসি। আর্জেন্টাইনের ঠিকানা লেখা থ্রু ধরে কৌতিনহোকে গোলের বল সাজিয়ে দেন ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাও। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান। এরপর প্রথমার্ধের একদম শেষদিকে বক্সের বাইরে থেকে মেসির নেওয়া ডানপায়ের শট পোস্টে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। এক্ষেত্রে গোলের পাসটি বাড়িয়েছেন কৌতিনহো।
বিরতি থেকে ফিরেই একটি গোল পরিশোধ করে জিরোনা। ব্যবধান কমান স্যামুয়েল সেজ। যদিও সেই গোল ধরে ম্যাচে ফিরতে পারেনি জিরোনা। বরং মিনিটপাঁচেক বাদে ম্যাচে তার দ্বিতীয় গোলটি করে যান মেসি। এবার বক্সের সামান্য বাইরে থেকে তার বাঁ-পায়ে নেওয়া শটের গতিপথ আন্দাজই করতে পারেননি বিপক্ষ গোলরক্ষক। কিছুক্ষণ পরেই আর্জেন্তাইনকে তুলে দেম্বেলেকে নামান কোম্যান। বাকি সময়ে গোল আর বাড়েনি। সবমিলিয়ে ৩-১ জয় পেয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা।
জোড়া ফ্রেন্ডলিতে দলকে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে খেলালেন ডাচম্যান। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল কোম্যানের আপফ্রন্টের ৪ জন ফুটবলার ক্রমাগত নিজেদের মধ্যে প্রান্তবদল করে খেলছে। যা বিভ্রান্তিতে ফেলছে বিপক্ষ রক্ষণকে। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেও তারাগোনাকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। কৌতিনহো ছাড়াও গোল করেছিলেন দেম্বেলে এবং গ্রিজম্যান। জিরোনা ম্যাচের পর কোম্যান জানান, ‘আমি মাঠে আমার সেরা আক্রমণভাগকে নামাতে চাই যাতে তারা ভিন্ন ভিন্ন পজিশন দখল করে রাখতে পারে।’ খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।