মুজিববর্ষে রাউজানে নতুন ঘর পেয়ে আত্মহারা দিনমজুর আবদুল শুক্কুর

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান :

‘সারাদিন পরিশ্রম করে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনো রকম সংসার চলে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একটি ঝুঁপড়ি ঘরে কোনো রকম থাকতাম। কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি পাকা বাড়িতে থাকবো। দিনমজুরী করে যেখানে নুন আনতে পানতা ফুরোয় সেখানে পাকাঘর তৈরি করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার মতো একজন গরীবের খবর নিয়ে ঘর তৈরি করে দিয়েছেন এটা আমার জীবনে সেরাপ্রাপ্তি। এই ঘরে নামাজ পড়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করব।’
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে এই অভিমত ব্যক্ত করেন রাউজান পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমজুর আবদুল শুক্কুর।
জানা গেছে, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে সাড়া দিয়ে সচিবরা নিজ অর্থে গৃহহীনদের বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরীর নিজ অর্থায়নে রাউজান পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল শুক্কুরকে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়।
২৩ অক্টোবর শুক্রবার বেলা ১১টায় ঘরটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, পৌর কাউন্সিলর আজাদ হোসেন প্রমুখ।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী (স্যার) রাউজানের এক অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিকে ঘর করে দিয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১১টায় ঘরটির উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়া সচিব পবন চৌধুরী রাঙামাটি সদরে নিজের অর্থায়নে এক হত দরিদ্র পরিবারকে পাকা ঘর উপহার দেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী বলেন, ‘কথার চেয়ে কাজ করাই ভালো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। আর বঙ্গবন্ধু না হলে আমরা কেউই সচিব হতে পারতাম না। আর সে কারণেই মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে সাড়া দিয়ে সকল সচিবরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’