মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবে বিএনপি। এজন্য বছরজুড়ে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, গত একযুগে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একপাতা হয়ে গেছে। এটি এখন আর জনযুদ্ধের ইতিহাস নেই। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর ঘটনার ইতিহাসও হয়ে গেছে একপাতা। ইতিহাসের পাতায় এখন মুক্তিযুদ্ধের আগের কিংবা আশির দশকের ঘটনাপঞ্জি আসে না। ইতিহাসের কিছু ঘটনা উদ্দেশ্যমূলকভাবে গোপন (ব্লাকআউট) করলে আমাদের নতুন প্রজন্ম কী নিয়ে বাঁচবে?
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ইতিহাস কোনোদিন প্রতিষ্ঠিত (সেটেল) হয় না। শতবছর পরও তা নিয়ে নতুন পর্যালোচনা হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইতিহাসবিদরা ইতিহাস লিখবেন। রাজনীতিবিদরা ইতিহাস লিখলে তা হয়ে যায় প্রপাগান্ডা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিএনপি জনগণের সামনে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের সত্যিকার ইতিহাস জনগণের কাছে তুলে ধরবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরজুড়ে বিশাল কর্মযজ্ঞকে সামনে রেখে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে কেন্দ্রের পাশাপাশি বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম থেকেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। ২৭ মার্চ জিয়া কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ কীভাবে হয়েছে, তাতে কার কী ভূমিকা তা আলোচনা হতে হবে। কী কারণে আমরা স্বাধীনতা চেয়েছিলাম তা জানতে এ বছরটি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী বিশাল কর্মযজ্ঞের আয়োজন করবো। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হবে। সত্য মিথ্যার বিচার আমরা করতে পারবো না, সেটা জনগণ করবে। অর্থনীতি ও উন্নয়নের অনেক গল্প শুনি আমরা। এ গল্পগুলোও পরিষ্কার করব। মিথ্যাচারের কারণে জনমনে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তা সরাতে এ বছরটি গুরুত্বপূর্ণ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, মাহবুবুর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর প্রমুখ।
সভায় আগামী একবছরের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হলেও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলা হয়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, শিগগিরই তা জানিয়ে দেওয়া হবে।