মিডিয়ার সাথে কথা বলতে সিডিএ’র মানা

এতে সরকার ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব বাড়বে : টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্লটকাণ্ডের পর মিডিয়ার সাথে কথা বলা বন্ধ করলো চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২৭ আগস্ট সিডিএ’র সচিব স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ,১৯৭৯ এর ২২ প্রবিধি এবং সিডিএ কর্মচারি চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৯০ এর আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধি ৩৯ এর ৬ প্রবিধি অনুযায়ী সিডিএ’র কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতীত সংবাদপত্র বা অন্য কোনো গণমাধ্যমের সাথে কোন যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন না।

সিডিএ’র এই অফিস আদেশের মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবি এর জাতীয় পর্ষদ সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইনে তথ্য পাওয়াকে অধিকার হিসেবে দেখানো হয়েছে।

সেই আইনে তথ্য পাওয়ার একটি প্রক্রিয়াও রয়েছে। কিন্তু ছোটো খাটো অনেক বিষয় থাকে যেগুলোর জন্য আবেদন করার প্রয়োজন হয় না। সেজন্য পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য নেয়া হয়। এখন এই সুযোগ বন্ধ করা হলে জনগণের সাথে যেমন দূরত্ব বাড়বে এবং একইসাথে ভুল বুঝাবুঝিরও সুযোগ তৈরি হবে।’

এদিকে সংবাদকর্মীদের তথ্য পাওয়ার অধিকার রোধ করা মোটেই কাম্য নয় বলে জানান চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান সিডিএ গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য পাওয়ার অধিকার এভাবে বন্ধ করতে পারে না। অবিলম্বে এই অফিস আদেশ প্রত্যাহার করে নিতে হবে।‘
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট সুপ্রভাতে সিডিএ’র সিলিমপুর আবাসিক এলাকায় ‘লেক ভরাট করে সিডিএ সচিবকে প্লট!’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন প্রকাশের পরিবেশ অধিদপ্তর এনফোর্সমেন্ট আইনে মামলাও করে।

গত ২৬ আগস্ট সেই মামলার শুনানিতে সিডিএতে মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান জমা দিতে বলেছে। অপরদিকে সেই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সিডিএ ব্যাখ্যা ও পুনঃব্যাখ্যা পাঠায় এবং সুপ্রভাতের জবাবসহ সেই ব্যাখ্যা প্রকাশিতও হয়েছিল।