মহিউদ্দিন চট্টগ্রামবাসীর হৃদয়কোঠায় থাকবেন

স্মরণসভায় তোফায়েল আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘যতদিন চট্টগ্রাম থাকবে ততদিন মহিউদ্দিন চট্টগ্রামবাসীর হৃদয় কোঠায় থাকবেন।’ গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নগরের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে বিজয় মেলা পরিষদের উদ্যোগে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামÐলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের তিনবারের সফল মেয়র মহিউদ্দিন দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সততার সাথে তাঁর দায়িত্ব পরিচালনা করে এ নগরকে আধুনিক চট্টগ্রামে রূপান্তর করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমরণ চট্টগ্রামের জন্য কাজ করে গেছেন। আধুনিক চট্টগ্রামের এ রূপকারের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ প্রধান বক্তার বক্তব্যে বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সমসাময়িক নেতাদের মধ্যে তাঁর মতো অনন্য গুণাবলী অন্য কোন নেতার মধ্যে পাওয়া যাবে না। তিনি গণমানুষের রাজনীতি করতেন বলেই তাঁর মধ্যে গণমানুষের চরিত্র ছিল।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রূপায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক মহিউদ্দিন চৌধুরী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। তার সাথে অতীতের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে ও কারাগারে একসঙ্গে থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন বলেন, চট্টগ্রামের কিংবদন্তি নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর অবদান বলে শেষ করা যাবে না। শিক্ষা, চিকিৎসা, নগরায়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে তিনি চট্টগ্রামের রূপই বদলে দিয়েছেন। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সবক্ষেত্রে তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে গেছেন। তাঁর জীবনকে ২টি অধ্যায়ে ভাগ করা হলে একটি হবে ছাত্রনেতা হিসেবে মহিউদ্দিন, অন্যটা সফল মেয়র ও আধুনিক চট্টগ্রামের রূপকার হিসেবে।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রাশেদসহ মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।