মতবিনিময় সভায় বক্তারা : নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, দেশের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার সিংহভাগই চট্টগ্রামের। এর মূল কারণ হচ্ছে এখানকার লোকজন খাবারে বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করে যেগুলি ফুডগ্রেড বলে চালানো হলেও প্রকৃতপক্ষে এ রঙগুলি কাপড় ও ওয়ালের রঙ। বিভিন্ন খাবার ও বেকারি খাদ্যে ফুড কালারের নামে যে রঙ দেয়া হচ্ছে তার সবটুকুই বিষ। অপরিস্কার অপরিছন্ন পরিবেশে খাদ্য রান্না ও পরিবেশেন, মানহীন খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ, মানহীন রান্নার তেল ও ঘি, মাছে জেলি ব্যবহার, ওজনে কম দেয়া, শাক-সবজিতে বিভিন্ন ক্যামিকেল ব্যবহার, দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, দেশী মুরগির কথা বলে সোনালী মুরগি বিক্রি, অপরিস্কার পরিবেশে মুরগি জবাই ও বিক্রি, ক্রেতাদের সাথে ব্যবসায়ীদের অসৌজন্যমূলক ব্যবহারের কারণে ক্রেতা-ভোক্তাদের অধিকার শুধু ক্ষুন্নই হচ্ছে না, প্রতারণার প্রকোপ মারাত্ম্ক আকারে বেড়েই চলছে। এর বাইরে সরবরাহ সংকটের কথা বলে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের লাগামগীন মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। যে যেভাবে পারে লুটপাট করে জনগণের পকেট কাটছে। নগরীর পাহাড়তলী বণিক সমিতি মিলনায়তনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ নিয়ে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
পাহাড়তলী বনিক সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার কোম্পানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী প‌রিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, আবদুল মান্নান, ডা. মাসবাহ উদ্দীন তুহিন, মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, এস এম নিজাম উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ রফিক আহমদ, আরিফ খান, দিদারুল হক, শম্পা কে নাহারসহ পাহাড়তলী বণিক সমিতির নেতৃবন্দ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ১৬ কোটি ভোক্তার স্বার্থ চিন্তা করে গণমুখী সিদ্ধান্ত গৃহীত না হলে ভোক্তাদের অধিকার সর্বদাই ক্ষুন্ন হবে।
সভায় পাহাড়তলী বনিক সমিতির আওতাধীন পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির বাজারের প্রতিটি দোকানের মূল্য তালিকা প্রদর্শন, মাছ ও মাংসে কোনো রঙ মিশ্রণ ও জেলী ব্যবহার না করা, মুরগীর দোকান পরিস্কার পরিছন্ন রাখা, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ রাখা, ওজনে ডিজিটাল স্কেলে কোনো কারচুপি না করা, ক্রেতাদের সাথে খারাপ আচরণ না করা ও প্রতি মাসে বিষয়গুলির অগ্রগতি নিয়ে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ক্যাব ও বাজার সমিতি পর্যালোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিজ্ঞপ্তি