ভয় নয়, ছিল উচ্ছ্বাস

রুমন ভট্টাচার্য :
শুরুতে ভ্যাকসিন নিয়ে কত আলোচনা-সমালোচনা কত কিছুই না শোনা গেছে। সমালোচকরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চালিয়েছে অপপ্রচার, ছড়িয়েছে আতঙ্ক। কিন্তু সবকিছুকে উপেক্ষা করে টিকা নিতে আসা মানুষের ছিল করোনাকে জয় করার আনন্দ। কারও মনে ছিল না কোনো রকম ভয়, আতঙ্ক। বরং ছিল আনন্দ ও উচ্ছ্বাস। খুশি মনে নিয়েছেন করোনার টিকা। উদ্বুদ্ধ করেছেন অন্যদের নিতে।
গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলায় স্থাপিত ভ্যাকসিন বুথসমূহ ঘুরে মিলেছে এমন চিত্র। অনেকে আবার টিকা নেওয়ার নিজস্ব অনুভূতি ও ছবি শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
সরেজমিন দেখা গেছে, চতুর্থ তলার আইসিইউ এর সামনে নিবন্ধনের বুথ। বুথের সামনে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের নাম নিবন্ধনে ব্যস্ত। নিবন্ধন বুথ ঘিরে নারী ও পুরুষের জটলা। ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য রয়েছে পৃথক ৪টি বুথ। এর মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুটি মহিলাদের জন্য। এছাড়া ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ড। ভ্যাকসিন গ্রহণকারীরা নাম নিবন্ধন শেষে ভ্যাকসিন কার্ড নিয়ে বসছেন নির্দিষ্ট বুথে। সেখান থেকে তারা যাচ্ছেন নির্দিষ্ট বুথে। টিকা নেওয়ার পর আধঘণ্টা তাদেরকে রাখা হয় পর্যবেক্ষণে। এ সময় কারো তেমন কোনো সমস্যা চোখে পড়েনি।
টিকা গ্রহণ শেষে বেরিয়ে আসার পথে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, ‘নির্ভয়ে ভ্যাকসিন নিন, করোনামুক্ত থাকুন।’
ভ্যাকসিন সেন্টারে কথা হলো এক ব্যক্তির সাথে। তিনি বলেন, স্ত্রীসহ এসেছি টিকা নিতে। টিকা নেওয়ার পর প্রায় আধঘণ্টা পার হয়েছে। টিকায় করোনা থেকে বাঁচার পথ খুঁজে পেলাম। সকলকে টিকা নেওয়ার অনুরোধ করছি।’
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুহাম্মদ সামশুল হক তার ফেসবুক পেইজে লেখেন, ‘করোনার টিকা দেওয়ার সময় বুঝতেই পারিনি বাহুতে আদৌ কিছু ঢুকছে কি না। ৪৫ মিনিট ঘুরেফিরে পরিচিত সাংবাদিক বন্ধুসহ অন্যদের সঙ্গে আনন্দমুখর পরিবেশে, হাসিমুখে কুশল বিনিময় করে নিশ্চিন্তে ফিরে এলাম বাসায়। সবাই নিবন্ধন করে টিকা নিন।’
টিকা গ্রহণকারী হরিধন দাশ সাগর দাশ নামে একজন বলেন, ‘ভয় ও আতঙ্ককে উপেক্ষা করে হাসিমুখে টিকা নিয়েছি। ভালো লাগছে। আশা করি আমার মত সবাই এই টিকা নিয়ে করোনামুক্ত থাকবেন।’
প্রথম দিন অনলাইনে নিবন্ধনকৃতদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে কার্যক্রম।