ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে পৃথক মন্ত্রণালয় চাই

এস এম নাজের হোসাইন »

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও গতিশীল নেতৃত্বে দেশের ভাবমূর্তি আজ আন্তর্জাতিকভাবে অনেক উজ্জ্বল হয়েছে। করোনা মহামারি সংকটেও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আর অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাফল্য চোখে পড়ার মতো। বর্তমান মন্ত্রিসভা ও জাতীয় সংসদ নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সংসদে যেভাবে ক্ষমতাসীন দল তাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন তা কিন্তু সত্যিই প্রশংসনীয়। সংসদে মনোনয়ন দেবার সময় বিভিন্ন পেশা, আইনজীবী, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী, নারী নেত্রী, এনজিও, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, গোষ্ঠি, ধর্মীয় গোষ্ঠীসহ সকল স্তরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে বিভিন্ন খাতের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক জনগোষ্ঠী “ভোক্তাদেরকে” বারবার উপেক্ষা করার অভিযোগ বরাবরের মতোই থেকেই যাচ্ছে।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদের ৬১ শতাংশ সদস্যই ব্যবসায়ী। যদিও স্বার্থের বেলায় বা সুবিধা ভোগের কথা উঠলেই দল-মতাদর্শ ভুলে সবাই নিজেদেরকে ভোক্তা হিসাবে দাবি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে ভোক্তাস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় হলে তাঁরা আবার ব্যবসায়ীদের পক্ষে অবস্থান নেন। সে কারণে ভোক্তাদের পক্ষে সরাসরি কথা ও তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে হলে ভোক্তাদের প্রকৃত প্রতিনিধি দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, সংসদসহ সরকারের অনেক নীতিনির্ধারণী ফোরামে ভোক্তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব না থাকার কারণে যখনই কোন নীতি বা নির্দেশনা প্রণয়ন করা হয় তখনই গুটিকয়েকে ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে বড় করে দেখা হয়। ভোক্তা স্বার্থ বরাবরের মতো উপেক্ষিত থেকে যায়।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষার জন্য একটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে। কারণ ঐতিহাসিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান ভূমিকা ও কাজ হলো ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা দেওয়া। দেশে শিল্প বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানির যারা চালিকা শক্তি, তাদের প্রতি অধিকতর সহানুভূতিশীল থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য স্বাভাবিক বিষয়। দেশে ন্যায্য ব্যবসার চর্চা থাকলে হয়তো ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম অংশীজন ভোক্তাদের বিষয়টি বিবেচনার সুযোগ সৃষ্টি হতো। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এই দায়িত্ব পালন করে সব পরিস্থিতিতে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। প্রশাসনিক বিন্যাসের বেলায় আমরা যদি উপমহাদেশের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলেও একটি মৌলিক ভিন্নতা লক্ষ্য করি। স্বাধীনতার পরে পাকিস্তানি আমলাতান্ত্রিক কাঠামোকে পুরোপুরি গ্রহণ করে যাবতীয় প্রশাসনিক বিন্যাস ও কাঠামো পুনঃগঠন করা একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। পাকিস্তানি কাঠামোর বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা অনুভবে নিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে সেটি আমরা অনেক ক্ষেত্রে আজও করে দেখাতে পারিনি। ক্যাব ভোক্তা সংক্রান্ত পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি তুলে আমাদের অতীতের ইতিহাসের দিকে তাকানোর একটি সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা অনেকেই জানি, ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠালগ্নে ১৯৪৭ সালেই ভোক্তাবিষয়ক পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয় গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ভারত শুরুতেই অন্তত কাঠামোগত দিক থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিল। কেউ বলতে পারেন যে আমলাতান্ত্রিক কাঠামো বদল করাটাই খুব কার্যকর বিষয় হয়তো হবে না। পেঁয়াজ, চাল ও নিত্যভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকটের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারসাজি প্রতিনিয়তই আলোচনার বিষয় হলেও তাদের কারসাজি থেকে ভোক্তাদের সহসা মুক্তি মিলছে না। দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যপণ্য স্থিতিশীল রাখতে তৎপর বাণিজ্য, খাদ্য, কৃষি, শিল্প মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট নানা সংস্থা-দপ্তর এই পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানতে নানা উদ্যোগ নিলেও কার্যত তা কোন কাজেই আসছে না।
বাজার নিয়ন্ত্রণে অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও বাজার বিশ্লেষক সবাই নানা ফর্মুলার কথা বললেও অধিকাংশই ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের আভাস দিচ্ছে। কারণ ব্যবসায়ীদের প্রভাব এত বেশি হয়ে আছে, যেখানে তারা এখন সরকারের নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যম ও অর্থনীতিবিদদেরকে তাদের জালে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের দেশের মুনাফখোর ব্যবসায়ীরা একবার পেঁয়াজ, একবার চাল, একবার সয়াবিন তৈল, একবার আলু, এভাবেই পর্যায়ক্রমে সকলেই বছরজুড়ে মানুষের পকেট কাটছে। দেশ রসাতলে যাক-সাধারণ মানুষ নিত্য ভোগ্যপণ্য মূল্যের জাঁতাকলে পিষ্ট হোক, তাদের ভ্রƒক্ষেপ করার সময় নাই।
দেশের ১৭ কোটি মানুষই ক্রেতা-ভোক্তা হলেও তাদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষায় কোন পৃথক মন্ত্রণালয় নাই। ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ক্ষুদ্র অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও এটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। আর ভোক্তাদের অধিকার ও সুবিধা প্রদানের জন্য সবকিছুর ভার দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের উপর। দেশের ভোক্তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বার্ষিক চাহিদা নিরুপণ, উৎপাদন, যোগান, বাজারজাতকরণে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অনুসন্ধান, ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে চিন্তা করার সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের থাকে না। এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হলেও জেলা পর্যায়ে একজন কর্মকর্তা দিয়ে কোন প্রকার লজিস্টিক সুবিধা ছাড়াই তাঁরা কাজ করছেন। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খোদ রাজধানী ঢাকা শহরে তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন। সরকার ভোক্তা সংরক্ষণ আইন, নিরাপদ খাদ্য আইনসহ নানা উদ্যোগ নিলেও তার সুফল জনগণ পাচ্ছে না। সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত ও ভোক্তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে হলে আইন প্রয়োগে সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোন ভাবেই সম্ভব হবে না।
দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক জনগোষ্ঠী ‘ভোক্তাদের’ জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় না থাকায় সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী মহল, প্রশাসন, গণমাধ্যমসহ সকল মহলের কাছে ভোক্তাদের বেদনা, ভোগান্তি জানানো সম্ভব হচ্ছে না। তারা ভোক্তাদের কথা শোনার চেয়ে ব্যবসায়ীদের কথা শুনতে আগ্রহী। কারণ ভোক্তারা অসংগঠিত, তাদের সংগঠন শক্তিশালী নয়। ফলশ্রুতিতে ভোক্তাদের হয়রানি, ভোগান্তির চেয়ে ব্যবসায়ীদের সমস্যাগুলি সরকার যেরকম গুরুত্ব দিচ্ছে তেমনি গণমাধ্যমগুলিতেও বেশি করে প্রচারিত হচ্ছে। যার অন্যতম দৃষ্টান্ত পেঁয়াজ, চাল ও আলুর মূল্যের সেঞ্চুরি। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ মজুত করে দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটলেও সরকার জনগণের কষ্ট লাঘবে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হচ্ছে না।
দেশে বর্তমানে ভোক্তাদের স্বার্থসংক্রান্ত বিষয়গুলো ১৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ দেখে থাকে। পৃথক মন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা থাকলে তাঁরা সবার সাথে সমন্বয় সাধনের কাজটা অনেক সহজে করতে পারবেন। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও রাষ্ট্রব্যবস্থার মূলমন্ত্র হলো সবার আগে নাগরিক ও জনস্বার্থের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা। যখন বিষয়গুলি বিপন্ন ও ক্ষুণœ হতে পারে, তখন নতুন নতুন কৌশল ও পন্থা উদ্ভাবন করাই সমীচীন। এবারের পেঁয়াজ, চাল ও আলু বলেই নয়, অতীতের সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-ভোগ্যপণ্য সংকট মোকাবিলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ এবং তার ফলাফল বিবেচনায় নিলে একটি বিষয় পরিষ্কার। তবে অধিকাংশ সময়ই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের দায়িত্ব পালনে সফলতা দেখাতে সমর্থ হয়নি। চড়া মাশুলটা সবসময় ভোক্তারাই দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থা টিসিবিকে কেন সংকটকালীন সময়ে কার্যকর করা সম্ভব হয়নি, তার একটা সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যায় বলা যেতে পারে, এমন যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘ কাজের তালিকায় ভোক্তাস্বার্থ অত বেশি অগ্রাধিকারে না থাকাটাই মূল অন্তরায়।
এছাড়াও বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অ্যালোকেশন অব বিজনেসে ৩১টি চিহ্নিত কাজের মধ্যে ভোক্তা নামে কোনো শব্দই সেখানে নেই। প্রাইস অ্যাডভাইজিং বোর্ডস এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ নামে দুটি দফা থাকলেও মানুষ কখনো এসবের ‘দাঁত’ দেখেনি। ভারতের ভোক্তা মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও দুটি বিভাগ আছে। তাদের অ্যালোকেশন অব বিজনেসে ভোক্তা স্বার্থবিষয়ক ৩৫টি বিষয় আলাদাভাবে চিহ্নিত আছে।
দেশের ‘ভোক্তারা’ সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক জনগোষ্ঠী হলেও সরকারের প্রতিনিয়ত নানা বিষয়ে নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ একেবারেই নগণ্য। ভোক্তারা সুসংগঠিত নয় ও তাদের সংগঠন শক্তিশালী না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভোক্তাদের ওপর কী প্রভাব ফেলবে সে বিবেচনা উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে বারবার। দেশের ১৭ কোটি ভোক্তার প্রতিনিধি হিসাবে ভোক্তা বিষয়ক উপদেষ্টার পদ সৃষ্টি করা হলে ভোক্তাদের সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধান হবে। এ অবস্থায় ভোক্তাস্বার্থ বিবেচনা, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভোক্তাদের স্বার্থের বিষয়টি তুলে ধরা, ভোক্তাস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রমে সমন্বয় সাধন, চাহিদা, উৎপাদন, আমদানির সঠিক পরিসংখ্যান সংরক্ষণ, সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল থেকে দরিদ্র, স্বল্প আয় ও নিম্নমধ্যবিত্তের ভোক্তারা যাতে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে রাখার উদ্দেশ্যে ১৫ থেকে ২০টি অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চিহ্নিত করে সেসব খাদ্য-পণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার দায়িত্ব অর্পণ করে একটি স্বতন্ত্র ‘ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ (ঈড়হংঁসবৎং অভভধরৎং গরহরংঃৎু) সৃষ্টি বহুলকাক্সিক্ষত দাবিতে পরিণত হয়েছে। তাই পৃথক মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা থাকলে অবশ্যই সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারক মহলে ভোক্তাস্বার্থের দিকগুলো বেশি মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আসবে। কারণ একজন উপদেষ্টা, মন্ত্রী, সচিব ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অন্তত সারাক্ষণ ভোক্তাদের কাছে জবাবদিহি করবে, সেখানেই জনঅসন্তোষ হ্রাস পাবে। তাই এ মুহূর্তে নতুন পৃথক মন্ত্রণালয় সৃষ্টি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে উপদেষ্টা নিয়োগ করে জনপ্রত্যাশা পূরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে আসবেন, এটা জনদাবি। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনায় আনবেন।

লেখক : ভাইস প্রেসিডেন্ট,
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)
পধননফ.হধুবৎ@মসধরষ.পড়স