ভেঙে পড়া কালভার্টের দুর্ভোগ বইছে স্থানীয়রা

চকরিয়ায় যুবলীগের সমাবেশে এমপি জাফর

সুমন শাহ্, আনোয়ারা :

‘এক সময়ের আনোয়ারার ঐতিহ্যবাহী সিকদার হাটের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক ছিলো এটি’। উপজেলার কান্দুরিয়া খালের সেতুটি ৮ বছর আগে পানির ঢলে ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে চাতরী ও সদর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সেখানে সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এ এলাকার কয়েকটি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ।এলাকাবাসী জানান, খালটি ইছামতি নদীর সঙ্গে যুক্ত। ২০১২ সালে পানির ঢলে এটি ভেঙে যায়। তখন চলাচলের জন্য এলাকাবাসী সেখানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। ওই সাঁকো দিয়ে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়ন ও সদর ইউনিয়নের ১০ হাজার অধিক মানুষের চলাচলে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। দীর্ঘদিন ধরে কালর্ভাট না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার পর সেখানে সেতু নির্মাণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংসদের কাছে সংস্কারের দাবিও জানান স্থানীয়রা। এছাড়াও দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া রোগিদের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ সড়ক।গত শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের ওপর প্রায় ২০ ফুট বাঁশের সাঁকো। ইছামতি নদী থেকে আসা প্রবল ¯্রােত ও বৃষ্টির পানিতে খালের উৎসমুখের দুই পাশের মাটি ধসে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাঁকো পার হচ্ছে।স্থানীয় খিলপাড়ার বাসিন্দা জগদিশ শীল বলেন, এ কালভার্টের জন্য আমাদের উপজেলা সদরে যেতে সময় লাগে এক ঘন্টার মত। অনেক সময় সাঁকো পার হতে গিয়ে এলাকার স্কুলগামী খুদে শিক্ষার্থীসহ বৃদ্ধরা দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ ছাড়া অসুস্থ লোকজনকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় সাঁকো পার হতে বেশি সমস্যা হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম বলেন, কালভার্টটি  ভেঙে পড়ার পর আরো একটি কালভার্ট নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু খালের ¯্রােত ও বর্ষার ঢলের কারণে ভাঙনের কথা বিবেচনায় রেখে এ জায়গায় একটি গার্ডার ব্রিজের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে  প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর-পরই প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।