ভারতের সঙ্গে সিরিজের দিন ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের চার টেস্টের সিরিজ খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেল। সেই সঙ্গে ঘোষিত ক্রীড়াসূচি অনুযায়ী ঠিক হল, সিডনিতেই হবে গোলাপি বলের খেলা। অর্থাৎ দিনরাতের টেস্ট। বিদেশের মাটিতে এই প্রথম কৃত্রিম আলোয় টেস্ট খেলবে ভারত। বৃহস্পতিবার ভআরতের সঙ্গে ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তিনটি টি-টোয়েন্টি, তিনটি ওয়ানডে এবং চারটি টেস্ট খেলবে দুই দল। ১১ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। খেলা হবে ব্রিসবেনে।
যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছে ভারত। সেখানে চারটি টেস্টে মুখোমুখি হবে দু’দেশ। ৩ ডিসেম্বর থেকে ব্রিজবেনে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট সম্ভবত হবে অ্যাডিলেডে (১১-১৫ ডিসেম্বর)। মেলবোর্ন হবে বক্সিং ডে টেস্ট (২৬-৩০ ডিসেম্বর)।সিরিজের শেষ টেস্টটি হবে নতুন বছরের একেবারে গোড়াতে (৩-৭ জানুয়ারি)। বিদেশের মাটিতে এটাই হবে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম গোলাপি বলে টেস্ট। প্রাথমিক আলোচনার পর এই সূচি ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল অ্যাডিলেডে হবে দিনরাতের টেস্ট। কিন্তু শেষমুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজ করার ব্যাপারে মরিয়া ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আসলে এই সিরিজ না হলে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখোমুখি হত অস্ট্রেলিয়া।
অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। বর্তমান পরিস্থিতি যেখানে দাঁড়িয়েছে, মনে হয় না সেই বিশ্বকাপ আর হবে। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে অরুণ ধুমাল জানিয়েছেন, ‘ঘোষিত ক্রীড়াসূচি নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। যদি অস্ট্রেলিয়া দৃঢ় মনোবল দেখিয়ে এই সিরিজ করতে পারে, তাহলে এর চেয়ে ভাল কিছু হয় না।’ তবে প্রশ্ন উঠছে, বর্তমান অস্ট্রেলিয়ার নিয়মানুযায়ী নবাগত অতিথিদের পনেরা দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। বিসিসিআই আগেই জানিয়ে দিয়েছে প্রয়োজনে তারা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে থাকতে রাজি। এখন প্রশ্ন হল, তাহলে কি কোহলিরা নভেম্বরের মাঝামাঝি চলে যাবেন অস্ট্রেলিয়ায়? ওই সময় যদি আবার আইপিএল হয় তাহলে কী হবে? তাছাড়া এই সিরিজে কি দর্শকরা মাঠে বসে সরাসরি ম্যাচ দেখতে পারবেন? সবটাই নির্ভর করছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সিদ্ধান্তের উপর। তবে অস্ট্রেলিয়া বোর্ড চাইছে যেভাবেই হোক, এই সিরিজ সম্পন্ন করতে। তবে এটাও ঠিক, অস্ট্রেলিয়া জুড়ে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমশ তলানিতে এসে ঠেকেছে।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।