বেড়েছে সবজি ও দেশি মাছের দাম

ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ টাকা #

রুমন ভট্টাচার্য :
কিছুটা বেড়েছে বিভিন্ন রকম সবজি ও দেশি মাছের দাম। সবজিতে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা দেশি মাছে বেড়েছে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের দরে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। তবে সোনালী মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার সকালে চকবাজার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হওয়া ঢেঁড়শের কেজি ৪০ টাকা। ৩০-৪০ টাকার ঝিঙ্গা ও চিচিঙ্গার কেজি ৫০ টাকা। ৪০ টাকার লতি ৫০ টাকা, ৩০ টাকার শসা ৪০ টাকা, ২৫ টাকার আলুর কেজি ২৮ টাকা, ৩০ টাকার তিতকরলার কেজি ৪০ টাকা। বাড়েনি মিষ্টিকুমড়া ও বেগুনের দাম। মিষ্টিকুমড়া ২০ টাকা ও বেগুন ৩০টাকা কেজি। ধনেপাতার কেজি ১০০ টাকা।
দাম বাড়ায় বাজারে সবজি কিনতে আসা ক্রেতাদের মাঝে ছিল কিছুটা অস্বস্তি। ডিসি রোডের বাসিন্দা উৎপল সরকার বলেন, ‘বিভিন্নরকম সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০টাকা বেড়েছে। তাই ১ কেজি জায়গায় এখন ৫০০ গ্রাম কিনছি।’
সবজি বিক্রেতাদের দাবি, সামনে দাম আরো বাড়তে পারে। কারণ বাজারে সরবরাহ কম।
এদিকে, গত সপ্তাহে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে সোনালী মুরগির দাম।
কেবি আমান আলী রোডের মা পোল্টির মালিক মো. জাহেদ বলেন, ‘ঈদ পর্যন্ত ব্রয়লার মুরগি দাম ছিল কেজি ১৯০। এরপর ১৬০-১৭০ টাকায় নেমে আছে। চলতি সপ্তাহে প্রতিকেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সরবরাহ কম থাকায় ২৩০ টাকা বিক্রি হওয়া সোনালী মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম কমলেও কমেনি ডিমের দাম। ঈদের আগের প্রতিডজন ৮০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু ঈদের পরে ২০ টাকা বেড়ে এখন প্রতিডজন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত সপ্তাহের মত অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসে দাম। গরুর মাংস (রান) প্রতিকেজি ৭০০ টাকা ও খাসি ৮০০ টাকা।
এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে ১০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেশি মাছের দাম। গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া রুই মাছ (ছোট) ২০০ টাকা, ২২০ টাকায় বিক্রি হওয়া রুই (মাঝারি) ২৫০ টাকা, ৩০০ টাকার রুই মাছ (বড়) ৩৫০ টাকা, ৩৫০ টাকার কাতাল (বড়) ৪০০ টাকা, ২৮০ টাকার কাতাল (মাঝারি) ৩০০ টাকা, ২০০ কাতাল (ছোট) ২২০ টাকা, ১৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া কৈ মাছ ২০০ টাকা। ৪৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া চিংড়ি গলদা (মাঝারি) ৫৬০ টাকা কেজি। ১২০-৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া পাঙ্গাস কেজি ১৫০ টাকা, ১০০-১৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া তেলাপিয়া (আকারভেদে) ১২০-২০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ভোগপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৩০-৩৫টাকা। রসুন ১২০-১৩০ টাকা, আদা-১৪০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১২০ টাকা ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল ১০০-১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।