বৃহস্পতিবার আইসিসির বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন সৌরভ!

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে যে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা রয়েছে, তাতে নতুনত্বের কিছু নেই। কিন্তু খবর হল, আগামী ২৮ মে বিশ্বকাপের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার আইসিসি বৈঠক। সেখানে বিভিন্ন অ্যাজেন্ডা রয়েছে। তবে মুখ্য আলোচ্য বিষয় হল বিশ্বকাপ। মার্ক টেলরের মতো প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় তারকা বলছেন, বিশ্বকাপ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মনে করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মোটামুটি একটা সিদ্ধান্ত হয়ে যেতে পারে। গত আইসিসি বৈঠকে বিসিসিআই থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সচিব জয় শাহ। তবে বৃহস্পতিবারের মিটিংয়ে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থাকছেন বলেই শোনা গেল।
একইসঙ্গে আইসিসি বৈঠকে এশিয়া কাপ প্রসঙ্গও উঠতে পারে। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা। কিন্তু এই পরিস্থিতি, মনে হয় না সেটা আর সম্ভব হবে। পিসিবি অবশ্য চাইছে টুর্নামেন্ট করতে। না হলে তাদেরও একটা বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সামনে পড়তে হবে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটমহলের অন্দরে খবর নিয়ে জানা গেল, এশিয়া কাপ নয়, এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা দুটো টুর্নামেন্ট নিয়ে। বিশ্বকাপ আর আইপিএল। আইসিসি পুরো ব্যাপারটা নিয়ে হয়তো অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু মুশকিল হল অস্ট্রেলিয়া সরকার অনুমতি দেবে কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। বিশ্বকাপ খেলতে ১৫ টি দেশ অস্ট্রেলিয়ায় আসবে। যা শিডিউল রয়েছে, তাতে মোট সাতটা ভেন্যুতে ৪৫ ম্যাচ হওয়ার কথা। এটাও বলা হচ্ছে, ট্রাভেলের ব্যাপারটা বেশ কঠিন হয়ে যেতে পারে।
এর সঙ্গে আরও একটা ব্যাপারও থাকছে। ক্রিকেটারদের ১৪ দিনের আইসোলেশনের ব্যাপার-স্যাপারও থাকছে। সব মিলিয়ে এখনও যা পরিস্থিতি তাতে বিশ্বকাপ বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
বিশ্বকাপ বাতিল হয়ে গেলে ওইসময় বিসিসিআই চেষ্টা করবে আইপিএল করার। আইপিএল প্রসঙ্গও আইসিসি বৈঠকে উঠতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। একইসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সবকিছুই থাকছে বৃহস্পতিবার আইসিসি বৈঠকের অ্যাজেন্ডায়।
করোনার প্রভাবে মার্চ থেকে ক্রিকেট বন্ধ। ইংল্যান্ড সিরিজের মাঝপর্বেই ফিরে এসেছে শ্রীলঙ্কা থেকে। আগামী জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, ওই সিরিজ দিয়েই আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হবে। কিন্তু মুশকিল হল, সামনের বছর আবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল হওয়ার কথা। কিন্তু যা পরিস্থিতি সেটা হয়তো পিছিয়ে দিতে হবে। কারণ বেশিরভাগ টিমগুলোর বেশ কিছু সিরিজ রয়েছে। ফলে বৈঠকে সেই সমস্ত সিরিজগুলো রি-শিডিউল করা নিয়ে আলোচনা হবে। তেমনই ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে যে ত্রিপাক্ষিক সিরিজ করার ভাবনা রয়েছে, সেই প্রসঙ্গও বৈঠকে উঠতে পারে। তবে যাই হোক না কেন, বিশ্বকাপ নিয়ে যে সবচেয়ে বেশি চর্চা হবে, সেটা বলে দেওয়াই যায়।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।