বালু উত্তোলন : তিন প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার   :

কক্সবাজারের প্রাণ বাঁকখালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার দায়ে লিংকরোড মেরিন সিটি’র মালিক জিএম ফেরদৌস ও খনন কাজে জড়িত তিন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন এই জরিমানা করেন। এই সংক্রান্ত এক নোটিশ জারি করা হয়েছে।

জিএম ফেরদৌস ছাড়া জরিমানার শিকার অন্য প্রতিষ্ঠান হলো কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাঁকখালী নদী খননকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসাইন জানান, দীর্ঘদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়িত প্রকল্পের অধীনে বাঁকখালী নদীর রামু ও কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে খনন কাজ চলছে। এই খনন কাজের আড়ালে  পরিবেশ ছাড়পত্র ও পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা ব্যতিত  জিএম ফেরদৌস এবং কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাঁকখালী নদী খননকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস যোগসাজস করে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।  বিশেষ করে নদীর বাংলাবাজার পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশ-প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এই নিয়ে এনভায়রন পিপলসসহ কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের দল তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। তাই অভিযুক্তদের পরিবেশ আইন মোতাবেক ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পরিবেশবাদীরা জানান, জিএম ফেরদৌস ব্যক্তিগত যে ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করেছে সেটি নদীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। তার বালু উত্তোলনের কারণে পিএমখালী অংশে কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত সি সি ব্লকের বাঁধ ভেঙে গেছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে প্রশাসন সব সময় চুপ ছিল। জিএম ফেরদৌসের অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে বিভিন্ন সময় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা হলেও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই অবৈধ উত্তোলন করা বালু বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।