বান্দরবান থেকে তক্ষক ঢাকায় নেয়ার পথে দুজন আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি, কর্ণফুলী :
তক্ষক পাচারকারীরা বিশেষ প্রক্রিয়ায় বিরল প্রজাতির দুটি তক্ষক নিয়ে যাচ্ছিল ঢাকার সাভারে। বান্দরবান থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে তক্ষকসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার উপজেলার মইজ্জ্যরটেক চেকপোস্টে অভিযান চলাকালে ২টি বিরল প্রজাতির তক্ষকসহ কেরানীগঞ্জের মৃত সিরাজুল হকের পুত্র হাজী মো. মনিরুল হক (৬০) ও সাভারের আক্কাছ আলী মাস্টারের পুত্র দেলোয়ার হোসেনকে (৫০) আটক করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা সুলতানা ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটক দুইজনকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বিকাল চারটায় তক্ষক উদ্ধার নিয়ে সাংবাদিকদের কর্ণফুলী জোনের পুলিশ কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত বলেন, মনিরুল ও দেলোয়ার নামের দুই ব্যক্তি বিশেষ প্রক্রিয়ায় ২টি তক্ষক নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তল্লাশি করে তক্ষকসহ তাদের আটক করা হয়। আটকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তক্ষক প্রতারণামূলক কাজের জন্যও নেয়া হতে পারে বলে ধারণা করছি।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, ব্যবসায়িক লেনদেন চুকাতে বান্দরবান যান মনিরুল হক। ব্যবসার কারণে কিছু ব্যক্তির নিকট তিনি টাকা পাবেন। তারাই এ ২টি তক্ষক বিক্রি করে টাকা নিতে বলেছেন বলেও জানান মনিরুল। পরে এ তক্ষকগুলো বন বিভাগকে হস্তাস্থর করা হয়।
পটিয়া বিট বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর গুজবে বিশ^াস করে এক শ্রেণির লোক রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। তক্ষক গিরগিটি প্রজাতির নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরাতন বাড়ির ইটের দেওয়াল, ফাঁক-ফোকড় ও পুরানো গাছে এরা বাস করে। কীটপতঙ্গ, টিকটিকি, ছোট পাখি ও ছোট সাপের বাচ্চা খায়। আইইউসিএনের লাল তালিকা অনুযায়ী এটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী।
উদ্ধারকৃত তক্ষক পটিয়া শ্রীমাই রিজার্ভ ফরেস্টে অবমুক্ত করা হবে।