বাদিকে পিটিয়ে আহত করল জামিন পাওয়া আসামিরা

উপর্যুপরি হামলার শিকার পরিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী :
বাঁশখালীতে মোরশেদুল আলম (২২) নামে মামলার এক বাদিকে জামিনে আসা আসামিরা উলঙ্গ করে উপর্যুপরি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে। সাতকানিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র মোরশেদুল আলম কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে গতকাল রোববার বেলা ২টায় মধ্যম সরল গ্রামের বড় মাদ্রাসার সামনে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে জনতা মোরশেদুলকে গুরুতর আহত ও অজ্ঞান অবস্থায় বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার আশংকাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
গৃহবধূ আয়েশার পরিবার এবং মামলার বাদি ও সাক্ষীকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দেয়া বাঁশখালীর সরল ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার উদ্যোক্তা পদে নিযুক্ত আয়েশার প্রতারক স্বামী আবু নাঈম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে বাদি পক্ষ জানান।
উল্লেখ্য, এর আগেও সন্ত্রাসীরা মোরশেদুল আলম, তার প্রবাসী ভাই মো. সেলিম, তার বোন আয়েশা ছিদ্দিকা, তার মা নুর নাহার বেগম, বাবা মৌলভী আবুল বশরের ওপর অন্তত ৩ দফা কিরিচ দিয়ে কোপানোর ঘটনা ঘটিয়েছে।
তারা অভিযোগ করেন, প্রতিটি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়ে চলছে মোরশেদুলের বোন আয়েশা সিদ্দিকার প্রতারক স্বামী আবু নাঈম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। প্রতিটি মামলায় আবু নাঈমই আসামি। এর মধ্যে গ্রিস প্রবাসী ভাই মো. সেলিম দেশে ফেরার আগে হামলার আশঙ্কায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু দেশে ফিরে ঠিকই সন্ত্রাসীদের কিরিচের কোপে আহত হয়েছেন। পাষ- স্বামী আবু নাঈম নিজ আইডি থেকেই ফেসবুকে নানা অশ্লীল ছবিসহ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ছড়িয়ে আয়েশাকে সামাজিকভাবে হেয় করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আয়েশা ছিদ্দিকাকে পিটিয়ে ১০ দিনের নবজাতক কন্যাকে তার স্বামী সাতকানিয়া উপজেলার আলীনগর গ্রামে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন।
লোমহর্ষক এসব অপরাধ ঘটিয়ে ৩টি মামলা ও ৪টি জিডি’র সংশ্লিষ্ট অপরাধীরা জামিনে এসে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। গৃহবধূ আয়েশার পরিবার এবং মামলার বাদি ও সাক্ষীকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ গতকাল রোববার বেলা ২টায় মধ্যম সরল গ্রামের বড় মাদ্রাসার সামনে প্রকাশ্যে আবু নাঈম ও তার সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী বলেন, মোরশেদের ওপর হামলার ঘটনা শুনেছি। কারা ঘটিয়েছে তা জানি না। তবে আবু নাঈমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তা নিয়ে কয়েকদফা সালিশী বৈঠকও হয়েছে।’
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) শফিউল কবির বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। অপরাধ ঘটিয়ে কেউ রক্ষা পাবে না।