বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ে ‘নির্দিষ্ট পরিকল্পনা’ উইন্ডিজের

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
বাংলাদেশের স্পিনারদের বিপক্ষে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০১৮ সালে ঘরের মাঠে সর্বশেষ সিরিজে বাংলাদেশের স্পিনারদের কাছেই ঘায়েল হয়েছিলো ক্যারিবীয়রা। সর্বশেষ সিরিজে বাংলাদেশ দলের চার স্পিনার- সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। ২০১৮ সালে দুই ম্যাচ সিরিজের চার ইনিংসের একটিতেও ২৫০ রান পার করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা।
প্রথম টেস্টে ৬৪ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ১৮৪ রানের বড় ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় টাইগাররা। যেটি ছিল বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মত ইনিংস ব্যবধানে ও বড় ফরম্যাটের ক্রিকেটে সবচেয়ে ব্যবধানে জয়।
সিরিজে অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ১৫টি, দুই বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ১০টি ও সাকিব আল হাসান ৯টি ও অফ-স্পিনার নাইম হাসান ৬টি উইকেট শিকার করেছিলেন।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারার আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো বাংলাদেশ।
এ সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যার্থওয়েট জানান, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফরে করা ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েছে দল।
ঐ সফরে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন ব্র্যার্থওয়েট নিজেও। দুই টেস্টে মাত্র ২২ রান করেন তিনি। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ব্রার্থওয়েট বলেন,আপনি যখন আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে খেলবেন, সর্বদাই চ্যালেঞ্জ থাকে। সর্বশেষ সিরিজে তাদের স্পিনাররা ভালো করেছে। ঐ সিরিজের পর আমরা আরো কোথায় ভালো করতে পারতাম, সে ব্যাপারে পর্যালোচনা করেছি। আমাদের পরিকল্পনা সঠিকভাবে কার্যকর করতে হবে এবং নিজেদের প্রস্তুতির উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ব্যাটসম্যান হিসাবে স্পিনারদের মোকাবেলার জন্য আমাদের কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে, তবে আমরা এসব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারি না। আমি যেমন বলেছি, আমরা আমাদের ভুলগুলি পর্যালোচনা করেছি এবং মাঠে চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় আছি।
ব্যাটসম্যান হিসেবে সামনে নেতৃত্ব দিতে চান ব্র্যার্থওয়েট। তিনি বলেন, আমি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাই। রান করা এবং উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসাবে দলের ভিত্তি গড়ে তোলা আমার কাজ হবে। আমি এটিকে দ্বিতীয় সারির দল হিসেবে দেখছি না। আমি মনে করি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তারা পারফরম্যান্স করতে পারে এবং ভাল করতে পারে। আমি জানি তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক আরো বলেন, আমার কাছে, ক্রিজে ভারসাম্য বজায় রাখা মূল বিষয় হলো, স্পিন এবং পেস আমি ঠিকভাবে খেলতে পারছি কি-না। ইংল্যান্ডে এটি ভাল ছিল, নিউজিল্যান্ডে উন্নতি হয়েছিল। আমি শুধুমাত্র আমার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। সব কিছুই সহজ রাখতে চাই। আমি এটি নিয়ে খুব বেশি ভাবতে চাই না। আমি আমরা পরিকল্পনা জানি। প্রথমে ঈশ্বরকে এবং নিজের উপর বিশ্বাস রাখছি।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে লড়াই শুরু করবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডে শেষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে তারা। যা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের অংশ। ২০ জানুয়ারি থেকে ওয়ানডে ও ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে টেস্ট শুরু হবে। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।