বসতভিটা দখলে হামলা

আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ

শতাধিক গাছ কেটে স্থাপনা নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :

চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় একটি অসহায় পরিবারের বাড়িভিটার জমি জবরদখল নিতে দুইদিন ধরে মহড়া দিচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকজন। অবশ্য ইতোমধ্যে প্রতিপক্ষের ১০-১২ জনের একটিদল দিনদুপুরে হামলা চালিয়ে বাড়িভিটার সীমানা প্রাচীর থেকে শতাধিক গাছ কেটে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। প্রতিপক্ষের ভাড়াটে লোকজনের হামলা ও নানাধরনের হুমকির প্রেক্ষিতে আতঙ্কে ভুগছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। এই অবস্থায় আদালতের কাছে আইনি সহায়তা চেয়ে পরিবারটির গৃহকর্ত্রী মনোয়ারা বেগম গত ১৬ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি এমআর মামলা করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বিরোধীয় ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।এদিকে আতঙ্কিত পরিবার সদস্যরা অভিযোগ তুলেছেন, আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেই এখনো দখল চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। পাশাপাশি অবৈধ জবরদখলে পাঁয়তারা করছে। অভিযোগে চকরিয়া পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কাজীরপাড়ার বাসিন্দা মৃত আকবর আহমদের মেয়ে মামলার বাদি মনোয়ারা বেগম জানান, পৈত্রিকসুত্রে পাওয়া লক্ষ্যারচর মৌজার বিএস খতিয়ান নম্বর ১৫০১, বিএস নম্বর-৫১৯৬, ৫১৯৭ দাগের ১০ শতক জমিতে তিনি বসতি নির্মাণ করে ভোগদখলে আছেন। কিন্তু সম্প্রতি বাড়িভিটার ওই জমি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন একই এলাকার হাবিবুর রহমান ও তার ভাই ছাবের আহমদ গং।বাদি মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেছেন, গত ১৬ বছর পূর্বে তার আত্মীয় ইছাক আহমদ এবং মৃত মোস্তাক আহমদের কাছ থেকে ৩০ কড়া জমি ক্রয় করেন হাবিবুর রহমান ও তার ভাই ছাবের আহমদ। সেখানে তারা বাড়ি নির্মাণ করে বসতি স্থাপন করেন। কিন্তু হাবিবুর রহমান পার্শ্ববর্তী দাগে আমাদের পরিবারের জমি জোরপূর্বকভাবে দখলের চেষ্টা করে আসছেন।এমনকি ওই জমি তাদেরকে কম দামে বিক্রি করার জন্য নানাভাবে চেষ্টাও করছেন। তাদের কারণে হাবিবুর রহমান ও ছাবের আহমদ গং বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভুক্তভোগী গৃহকত্রী মনোয়ারা বেগমের দাবি, গত মঙ্গলবার ও বুধবার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ভাড়াটে লোকজন বাড়িভিটার ছোট-বড় অন্তত শতাধিক গাছ কেটে দিয়ে ইট, বালি ও সিমেন্ট নিয়ে বিরোধীয় জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করে। ওইসময় তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উল্টো আমার পরিবার সদস্যদেরকে মারধর করেন। তাৎক্ষণিক চকরিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে এসআই প্রিয়লাল ঘোষ পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় জমি মালিক মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত এমআর মামলার (নম্বর ৯১৮/২০) অভিযোগ আমলে আদালতের বিচারক এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।