‘বদি’র অজানা এক অধ্যায় জানালেন ‘মোনা’

সুপ্রভাত ডেস্ক :
জনপ্রিয় অভিনেতা আব্দুল কাদের শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে শোবিজে।
দীর্ঘদিনের সহকর্মী আবদুল কাদেরের মৃত্যুর বেদনা ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাকেও। সাংসদ এই অভিনেত্রী আবদুল কাদেরের সঙ্গে অনেক নাটকেই একসঙ্গে কাজ করেছেন। তবে ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকটি বিখ্যাত হয়ে আছে। যেখানে সুবর্ণা আজও চিরসবুজ বাকের ভাইয়ের প্রেমিকা মোনা চরিত্রে আর আবদুল কাদের বাকের ভাইয়ের সহযোগী বদি চরিত্রে।
সেই বদির মৃত্যুর সংবাদ শুনে সুবর্ণা মুস্তফা ফেসবুকে এক শোকবার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি কাদেরের স্মৃতি চারণা করে একটি অজানা এক অধ্যায়ের গল্প জানালেন। সুবর্ণা লিখেছেন, ১৯৮৬ সালে ফরীদি (অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি) আর আমি ভারত যাচ্ছিলাম। সেই যাত্রার ফ্লাইট ছিলো পরদিন। আগের দিন দরজায় নক পড়লো। দরজা খুলে দেখি কাদের ভাই দাঁড়িয়ে আছেন ক্যামেরা হাতে নিয়ে।
তিনি সেটা আমাদের দিয়ে বললেন, ভারত যাবা, সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখবা আর ছবি তুলবা….। এই হলো কাদের ভাই।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে আমাদের তখন কোনো ক্যামেরা ছিলো না। কাদের ভাই কেমন করে সেটা জানতে পেরেছিলেন আজও আমি সেটা জানতে পারিনি। জীবনের দারুণ এক স্মৃতি হয়ে রইলো এই ঘটনা।
‘বদি’র বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করে ‘মোনা’ লিখেছেন, আমরা সবাই আপনাকে ভালোবাসি কাদের ভাই।
এদিকে অভিনেতার পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি জানান, আজ শনিবার মাগরিব নামাজের পর রাজধানীর বনানীতে সমাহিত করা হবে তাকে। তার আগে রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে আবদুল কাদেরকে শ্রদ্ধা জানানো যাবে শিল্পকলা একাডেমিতে।
‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের চরিত্র ‘বদি’ খ্যাত আবদুল কাদেরের জন্ম মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে। তার বাবা মরহুম আবদুল জলিল। মা মরহুমা আনোয়ারা খাতুন। স্ত্রী খাইরুননেছা কাদেরের সঙ্গে সুখের দাম্পত্যে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। রেখে গেছেন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও বন্ধু স্বজন। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।