বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর : করোনায় বিপাকে ঠিকাদাররা

রাজু কুমার দে, মিরসরাই:

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে পড়েছে করোনার প্রভাব। করোনার প্রভাবে থমকে আছে কাজ। আটকে আছে বিনিয়োগকারীদের বিল। ফলে বিপাকে পড়েছে বিনিয়োগকারীরা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকু- ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার একর জমির উপর নির্মিতব্য অর্থনৈতিক অঞ্চল গত বছরের ৬ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভিত্তি প্রসন্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ২৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পাইপলাইন বসাচ্ছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। ইতিমধ্যে দেশি বিদেশি প্রায় ৮৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রসত্মাব পাওয়া গিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে জমি নিয়েছে বসুন্ধরা, বিএসআরএমসহ বড় বড় কোম্পানি। কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫ লাখ মানুষের। পুরোদমে চলছিল অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ। কিন’ হঠাৎ কোভিড-১৯ এর থাবায় সব কিছু ধমকে গেছে।  ছোট থেকে বড় সব প্রকল্পের কাজ বন্ধ বললেই চলে। বিশেষ করে যেসব প্রকল্পে বিদেশি জনবল রয়েছে সেগুলো গত মার্চ মাস থেকেই তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায়। ফলে এর প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত স্থানীয় চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের মাঝে। অনেকটা অলস সময় পার করছে তারা।

অন্যদিকে বিপাকে পড়েছেন এর সাথে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা। কেননা এসব ঠিকাদাররা বিভিন্ন পণ্য, কাঁচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করেও তাদের বিল তুলতে পারেননি। যথাসময়ে বিল না পাওয়ায় ঠিকাদাররা তাদের নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে পারছে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের ঠিকাদার ইকবাল হোসেন জানান, তিনি জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যনন্ত ৫০ লাখ টাকার মালামাল সরবরাহ করছেন চাইনিজ একটি কোম্পানিতে। তবে করোনা ভাইরাস সংকটে তিনি মূলধন কিংবা মুনাফা কিছুই তুলতে পাননি। ফলে শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারেননি তিনি।

একাধিক স্থানীয় ঠিকাদার জানান, তারা বিভিন্ন কোম্পানিকে ইট, বালিসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করে সঠিক সময়ে বিল পাননি।

এ প্রসঙ্গে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল মিরসরাই- প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সংক্রমণ কাটিয়ে ওঠা অনেক দেশ থেকে ইতোমধ্যে অনেক বৈদেশিক বিনিয়োগকারী পপ্রতিষ্ঠান আমাদের সাথে যোগাযোগ শুরম্ন করেছে। আশা করছি সংকট কাটিয়ে উঠলে ভবিষ্যতে ভালো কিছু হবে। তবে সময় মতো ঠিকাদারদের বিল আটকে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি কিছু জানাতে রাজি হননি। এমনকি এই ব্যাপারে কিছু বলার এখতিয়ার নেই বলে তিনি জানান।