বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ‘বজ্রকণ্ঠ ’ নতুন প্রজন্মকে উদ্দীপ্ত করবে : মেয়র

বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ‘বজ্রকণ্ঠ’ ফলক উন্মোচন করে উদ্বোধন করছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ‘বজ্রকণ্ঠ’ নামকরণে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য তৈরি করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। চট্টগ্রামের হালিশহরস্থ বড়পুল মোড়ে নির্মিত হয়েছে এ ভাস্কর্য।

বুধবার সকালে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বঙ্গবন্ধুর এ ভাস্কর্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, এ ‘বজ্রকণ্ঠ’ ভাস্কর্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিরচেনা সেই ভঙ্গিতে তার ‘বজ্রকণ্ঠে’ ভাষণের অভিব্যক্তিকে। বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আর দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় বাঙালি অর্জন করেছিল একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। বাংলাদেশ আজ যখন শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ইত্যাদিতে উন্নতির ধারাবাহিকতায় এগিয়ে চলছে তখন এলো বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সময়ের সাহসী কণ্ঠস্বর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী। তার দৃপ্ত কণ্ঠের বজ্রধ্বনি কাঁপিয়ে দিয়েছিল সা¤্রাজ্যবাদী পাকিস্তানী শক্তির ভীত এবং ঐক্যবদ্ধ করেছিল সমগ্র বাঙালি জাতিকে। ভাষণরত বঙ্গবন্ধুর শক্তিশালী সেই হাতটিই যেন সমগ্র বাঙালি জাতির ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক।

তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রায় পঞ্চাশ বছর পার করতে চলেছে। জাতির অতীত গৌরবময় পর্বকে নতুন প্রজন্মের সামনে মূর্ত করে তুলে ধরতেই ‘বজ্রকণ্ঠ’ শিরোনামের এই ভাস্কর্য প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে, যা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে উদ্দীপ্ত করবে নিঃসন্দেহে। একটি দেশের শিল্প-সংস্কৃতিতে ভাস্কর্যও একটি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ ভাস্কর্য (পাবলিক প্রেস স্কাল্পচার) পৃথিবীর বহুদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক হিসাবে প্রভাব বিস্তার করছে। ‘বজ্রকণ্ঠ’ নামের ভাস্কর্যটিও আমাদের জাতির মানষপটে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারবে, দেশবাসীর মধ্যে দৃঢ়তর করতে পারবে ঐক্যের বন্ধন। বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা ও মুক্তিযুদ্ধের অভিনাসী চেতনাকে ধারণের চিন্তা-চেতনার শিল্পীত রূপকল্পটি বাঙালি জাতি সত্ত্বার অস্তিত্তের ভিত্তি সোপান।

উদ্বোধনকালে কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, নাজমুল হক ডিউক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, এরশাদ উল্লাহ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফরোজা কালাম, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, টিআইসি’র পরিচালক আহমেদ ইকবাল হায়দার, মেয়রের একান্ত সহকারী রায়হান ইউসুফ, আতিকুল ইসলাম, শায়লা শারমিন, সাবেক কাউন্সিলর লায়ন মোহাম্মদ হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কান্তি দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল আলম পিপিএম, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, প্রকৌশলী রেজাউল বারী, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জে বি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জাবেদ আলম, রাজনীতিক বেলাল আহমদ, এনামুল হক মুনীরি, আবু সুফিয়ান, এস এম মামুনুর রশিদ, সুমন দেবনাথ, আনিসুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি