ফের ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জের দাবি সুজনের

বন্দর-সিইপিজেড

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আবারও চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (সিইপিজেড) থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দাবি করেছেন।
তিনি মঙ্গলবার বিকেলে ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের ব্যারিস্টার সুলতান আহমদ চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন আব্দুল মাবুদ সড়কে চসিকের সড়ক নির্মাণ ও নালার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে একথা বলেন।
এ সময় স্থানীয় সমাজ সেবক হারুনুর রশীদ, আবু তাহের, সুলতান নাছির, আকবর হোসেন, কাউন্সিলর প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মাসহ সেলিম আফজাল উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসক উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনের সময় আব্দুল মাবুদ সওদাগর রোডের পুরো এলাকার অলিগলি ঘুরে দেখেন এবং এলাকার নাগরিক সমস্যা নিয়ে স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলেন। এসময় এলাকার নালা-নর্দমায় মশানিধনে এডাল্টিসাইট ও ফগার মেশিনের সাহায্যে ওষুধ ছিটানো হয়।
প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আব্দুল মাবুদ সড়কটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এ এলাকায় সিইপিজেডে অবস্থিত পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন কল-কারখানার শ্রমিকরা বসবাস করেন। এলাকার ভেতর দিয়ে ৫ নম্বর খালটি প্রবাহিত হয়েছে। সল্টগোলা ক্রসিং মোড় থেকে শুরু হওয়া খালটি বন্দর ও সিইপিজেড’র বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনার কারণে অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে। যা কর্পোরেশন ধারাবহিকভাবে পরিষ্কার করছে। অথচ সিইপিজেড’র শ্রমিকরা কর্মস্থলের যাতায়াতের দূরত্ব কম হওয়ায় আব্দুল মাবুদ সড়ক এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। এতে একদিকে শ্রমিকদের কর্মঘণ্টার যেমন সাশ্রয় হয়, অপরদিকে শ্রমিকদের সময়ানুযায়ী উপস্থিতির কারণে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা সিইপিজেড’র কারখানাগুলোও ঠিক সময়ে পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি করে লাভবান হচ্ছে। আর এ গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডসহ পুরো নগরীর নাগরিক সেবা নির্বিঘ্ন রাখছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু পৌরকর ও সরকারি থোক বরাদ্দ ছাড়া কর্পোরেশনের অতিরিক্ত কোন আয়ের খাত নেই। অথচ নগরবাসী ছাড়াও বড় মিল কারখানা, বন্দর, কাস্টমস, রেলওয়ে নগরীর বড় উপকারভোগী।
স্টেকহোল্ডার হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ পাওয়ার অধিকার রাখে। তাদের বড় ট্যাংক-লরি, কাভার্ডভ্যান ও ভারি যানবাহনগুলো নগরীর সড়কগুলো ব্যবহার করছে। যে কারণে নগরীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নতুনভাবে নির্মাণের পরও ভেঙে যাচ্ছে। তাই ওজনস্কেল বসানোসহ টেকসই সড়ক নির্মাণে তাদের কাছে কর্পোরেশনের সার্ভিস চার্জ চাওয়া কোনভাবেই অযৌক্তিক নয়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্পোরেশন থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও আলোকায়নের সেবা দিচ্ছে। আশাকরি সব দিক বিবেচনা করে সরকার ন্যায্য সার্ভিসচার্জ পেতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করবে। বিজ্ঞপ্তি