ফুটপাতের অবৈধ দখল ছাড়তে হবে

চসিক প্রশাসকের ফুটপাত দখল সরাতে অভিযান

চসিক প্রশাসকের মাইকিং

সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আমার সর্বোচ্চ দিয়ে নগরবাসীর অধিকার আদায়ে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি। এজন্য দরকার সকলের সহযোগিতা ও সদিচ্ছা।
গতকাল অপরাহ্নে মাঝিরঘাটস্থ স্ট্যান্ড রোড হয়ে কদমতলী ফ্লাইওভার থেকে দেওয়ানহাট মোড় পর্যন্ত ফুটপাত ও রাস্তা পরিদর্শনকালে প্রশাসক এসব কথা বলেন। এসময় তিনি মাইকিং এর মাধ্যমে কদমতলী ও দেওয়ানহাট ফ্লাইওভারের নিচের জায়গা এবং ফুটপাত অবৈধ দখল করে ব্যবসার স্থাপনা নিজ জিম্মায় সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান। অন্যথা চসিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এসময় জনসাধারণ প্রশাসকের কাছে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানালে প্রশাসক ফুটপাত অবমুক্ত করলে ব্যবসা পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা দেবে বলে জানান। প্রশাসক স্টেশন রোড, নিউমার্কেট মোড়ে চসিকের গণশৌচাগার থেকে অবৈধভাবে পানি বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরে পাইপ জব্দ করেন এবং সাথে সাথে পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কাছে তথ্য রয়েছে কিছু অসৎ ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চসিকের পানি বিক্রির রমরমা ব্যবসা করছে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই এই পানি বিক্রি বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে মনিটরিং করা হবে, একই সাথে গণশৌচাগারের ইজারা বাতিল করা হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমার মেয়াদকালে চট্টগ্রাম শহর উন্নয়নে একটি গাইড লাইন দাঁড় করিয়ে যাব। যাতে পরবর্তীরা তা অনুসরণ করে কাজে লাগাতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের উন্নয়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনা রেখে গেছেন। যদি অন্তত তাঁর দিকনির্দেশনা অনুসরণ করা যেত তাহলে এ শহরের এমন রূপ চোখে পড়তো না। তাঁর সময়ে চট্টগ্রাম ছিল তকতকে-ঝকঝকে ও পরিবেশবান্ধব। অথচ অযতেœ ও অবহেলায় চট্টগ্রাম তার সৌন্দর্য হারাতে বসেছে।
এসময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার দাশসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি