ফটিকছড়িতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক

প্রস্তুত হয়েছে ৪টি আইশোলেসন সেন্টার
গড়ে তোলা হচ্ছে কোভিড-১৯ হাসপাতাল

মো. আবু মনসুর, ফটিকছড়ি :

ফটিকছড়িতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। ২৪ জুন পর্যন্ত মোট ১০৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। আক্রান্তদের মধ্যে ডাক্তার,পুলিশ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্যকর্মীসহ অনেক রয়েছেন। অযথা হাটবাজারে ঘুরাঘুরি করা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মাস্ক না পরা ইত্যাদি কারণে সংক্রামণ বাড়ছে। এদিকে ফটিকছড়িতে করোনা ভাইরাসের আপদকালীন সময়ে ব্যবহারের লড়্গ্যে ৪ টি আইসোলেশন ইউনিট প্রস’ত করা হয়েছে।

ফটিকছড়ি সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভা-রীর নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার আজিমনগরস’ মাদ্রাসা-এ- গাউছুল আজম  মাইজভান্ডারীতে সাধারণ জনগণ, নাজিরহাটস’ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে  সাংবাদিক, নাজিরহাট ঝংকার মোড়ের উত্তর পাশে রয়েল মাউথ আবাসিক হোটেল ও নাজিরহাট হৃদয় আবাসিক হোটেলে ডাক্তার ও নার্স, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, পুলিশের জন্য  প্রস’ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের নাজিরহাট রয়েল হোটেলে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

করোনা আক্রানেত্মর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ফটিকছড়ি ২০ শয্যা হাসপাতালকে কোভিড-১৯ হাসপাতালে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে প্রয়োজন হচ্ছে প্রায় ১ কোটি টাকা এবং প্রতি মাসে খরচ পড়বে প্রায় ৩৫ লড়্গ টাকা। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে হাসপাতালটির।

গত ৯ জুন উপজেলা সদরের ২০ শয্যা হাসপাতালকে বিশেসায়িত কোভিট-১৯ হাসপাতালের ঘোষণা দেন সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। এর পর থেকে সেটির উন্নয়নে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ সহায়তায় এগিয়ে আসেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপড়্গ জানান বর্তমানে ব্যবহার অযোগ্য হাসপাতালটিকে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ব্যবহার উপযোগী হাসপাতাল করতে মেডিক্যাল সরঞ্জামসহ প্রায় ১ কোটি টাকা প্রয়োজন এবং প্রতি মাসে পরিচালনা খরচ বাবদ প্রায় ৩৫ লড়্গ টাকা প্রয়োজন হতে পারে। এত টাকা যোগাড় করা সাধারণ  মানুষের সহযোগিতা ছাড়া কষ্টসাধ্য। তারপরও হাসপাতালের উন্নয়ন কাজ শুরু করছি।

সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, ফটিকছড়িবাসীর সুচিকিৎসার কথা বিবেচনা করে হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ এর রোগীর জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছ। সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছে উপজেলা প্রশাসন। হাসপাতালটি সরকারি হিসাবে বন্ধ থাকায় এতে কোন প্রকার বরাদ্দ নেই উল্লেখ করে সাংসদ আরো বলেন, হাসপাতালটির বিভিন্ন কড়্গ অব্যবহৃত থাকায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। এটিকে ব্যবহার উপযোগী করা ও চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য অর্থেও প্রয়োজন। আমাদের পড়্গ থেকে যতোটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে, একই সাথে এলাকাবাসীকেও এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আপদকালীন তহবিলে সহযোগিতার আহবান জানান তিনি।