প্রশ্নবিদ্ধ সিএমপির সিভিল টিম!

১২ এসআই একযোগে বদলি#
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগর পুলিশের সিভিল টিম পরিচালনাকারী ১২জন এসআইকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় সিএমপির উপ-কমিশনার (সদর) আমীর জাফর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই রাতে নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় সাদা পোশাকে অভিযানের সময় দশম শ্রেণির ছাত্র সালমান ইসলাম ওরফে মারুফের (১৯) মা ও বোনকে লাঞ্চিত করেন ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল। শুধু তাই নয়, মারুফকে গ্রেফতার না করা হবে না বলে জানিয়ে তার মায়ের কাছে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন এসআই হেলাল। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মারুফের মা-বোনকে মারধরও করেন এসআই হেলাল। পুলিশ কর্তৃক মা-বোন লাঞ্ছিত হওয়ার অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে মারুফ। ঘটনার পর পর শাস্তি হিসেবে এসআই হেলালকে প্রত্যাহার করা হয়।
ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে সিএমপি। এদিকে মারুফের আত্মহত্যার ঘটনার পর নগর পুলিশের ‘সিভিল টিম’ এর কাযক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ ঘটনার জের ধরে এক যোগে সিভিল টিমের ১২ জন এসআইকে বদলির আদেশ এলো।
জানা গেছে, কোতোয়ালী থানায় কর্মরত এসআই সজল কান্তি দাশ ও এসআই তারেকুজ্জামানকে সিএমপির উত্তর বিভাগে বদলি করা হয়েছে। বাকলিয়া থানার এসআই রেজুয়ানুল ইসলামকে পশ্চিম বিভাগে, এসআই এসএম জামাল উদ্দীনকে বন্দর বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
দক্ষিণ জোনের সদরঘাট থানার এসআই তন্ময় ভটাচার্য্যকে উত্তর বিভাগে, এসআই মোরশেদ আলমকে পশ্চিম বিভাগে, পাঁচলাইশ থানার এসআই আব্দুল মোমিনকে পশ্চিম বিভাগে, বায়েজিদ থানার এসআই গোলাম মোহাম্মদ নাসিমকে দক্ষিণ বিভাগে, চান্দগাঁওয়ের এসআই সালাহ উদ্দিন খান নোমানকে দক্ষিণ বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
একই আদেশে পাহাড়তলী থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে দক্ষিণ বিভাগে, ডবলমুরিং থানার এসআই হাসানুজ্জামান রুমেলকে দক্ষিণ বিভাগে, হালিশহর থানার এসআই পলাশ চন্দ্র ঘোষকে দক্ষিণ বিভাগে বদলি করা হয়।
সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান জানান, নগর পুলিশে ‘সিভিল টিম’ পরিচালনার সুযোগ নেই। তবে আসামি ধরার কৌশল হিসেবে ‘সিভিল টিম’ পরিচালনা করা যাবে। ওই টিম ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধ করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।