পেটে ইয়াবা বহনে বিষক্রিয়ায় যুবকের মৃত্যু

আনোয়ারায় ইয়াবাসহ মাদককারবারি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা :

প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শত চেষ্টার পরও ইয়াবা চোরাচালান যেন থামছেই না। একের পর এক কৌশল অবলম্বন করে চোলাচালানিরা অব্যাহত রেখেছে তাদের কারবার।

ইয়াবা পাচারে নতুন কৌশল নিয়েছেন মাদক কারবারিরা। ইয়াবার চালান গনত্মব্যে পৌঁছে দিতে ব্যবহৃত হচ্ছে পেট। এ কাজে ভাড়ায় ব্যবহার করা হচ্ছে নারী-পুরম্নষ এমনকি শিশু-কিশোরও। টাকার বিনিময়ে নিজের পেটে প্যাকেট ভর্তি হাজার হাজার ইয়াবা পাচারে বাহকদের কেউ কেউ সফল হচ্ছেন। আবার অনেকে প্রাণও হারাচ্ছেন। অভিনব এই কৌশলে পেটের ভেতর ইয়াবা পাচারকালে আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের দুধকুমড়া গ্রামের আলী আকবর মনুর ছেলে তৈয়ব আলী (৩০) নামে এক মাদক কারবারির মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ইয়াবা পাচারের জন্য তৈয়ব কক্সবাজারের টেকনাফে যায়। সেখান থেকে নিজের পেটের ভেতর করে ইয়াবা চালান নিয়ে আসে। এ সময় তার সঙ্গে আরও দুইজন ছিলেন। পরে তৈয়ব বাথরম্নম করে ইয়াবার প্যাকেট গুলো বের করার চেষ্টা করলে কিছুপ্যাকেট থেকে যায়। পেটের ভেতর ওই প্যাকেট গুলো ফেটে বিষক্রিয়া হলে বুধবার ভোর ৫টার দিকে তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, তৈয়বের সাথে যে দুইজন ছিল তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে বুধবার রাতে উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকা থেকে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মনতাজ উদ্দিন (৪৮) নামে এক মাদককারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে বৃহস্পতিবার মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে থানার উপ সহকারি পুলিশ পরির্দশক রেজাউল করিম।

আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ বলেন, মৃত তৈয়ব আলী মাদক কারবারি ছিলেন। ধারণাকরা হচ্ছে-পুলিশের অভিযানও সন্দেহের উর্ধ্বে থাকতে পেটের ভেতর ইয়াবা পাচারের পথ বেছে নিয়েছেন। বিষয়টি খুবই শঙ্কার। পেটে বিষক্রিয়ার কারণে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়। তবে তার পরিবারের পক্ষে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদনত্ম ছাড়াই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।