পরকালীন জবাবদিহিতা দুর্নীতির প্রতিষেধক

দুর্নীতি প্রতিরোধ কর্মশালায় মুনীর চৌধুরী

এ পার্থিব জীবন ক্ষণস্থায়ী জেনেও মানুষ বিলাসবহুল ফ্ল্যাট নির্মাণে আসক্ত হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে ভোগবিলাসে। কিন্তু মুহূর্তেই মৃত্যু এসে মানুষকে থামিয়ে দিচ্ছে। তাই আল্লাহর ভয় এবং পরকালীন জবাবদিহিতা মানুষকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে পারে।
গতকাল ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে “শুদ্ধাচার ও দুর্নীতি প্রতিরোধ” শীর্ষক কর্মশালায় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী এ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুনিমুল হক বলেন, “শুদ্ধাচারী হওয়ার আগে নৈতিক হতে হবে। কিসের শুদ্ধাচার ? নৈতিকতা থাকলে মানুষ আপনা আপনি শুদ্ধাচারী হয়ে যাবে। সততা ও শুদ্ধাচার প্রয়োগের বিষয়। আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাব আছে বিধায় শুদ্ধাচারের প্রশ্ন এসেছে। অভাবে স্বভাব নষ্ট-এ যুক্তি এখন অর্থহীন। বাংলাদেশের যে কেউ এখন তিন বেলা তৃপ্তিভরে আহার করতে পারে। অশিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে দুর্নীতি নেই। কিন্তু শিক্ষিত সমাজেই দুর্নীতিগ্রস্ত বেশি। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন সৎ ছাত্র, সৎ শিক্ষক, সৎ পিতামাতা এবং সৎ পরিবেশ। তবেই দুর্নীতি নির্মুল হবে।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, পেশাজীবী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. ইমতিয়াজ হোসেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বুয়েটের রক্তিম চৌধুরী ও সীমস্বাদ এনা, সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আইনিন নাইম ফিমা, বিমান প্রকৌশলী তানজিয়া রশিদ, বিজ্ঞান জাদুঘরের সহকারী কিউরেটর মাসুদুর রহমান।
বক্তারা দুর্নীতি রোধে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্য বই কমিয়ে নৈতিকতা শিক্ষা প্রদান, আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ, দুদক ও অডিট বিভাগকে শক্তিশালীকরণ এবং দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তি প্রদানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিজ্ঞপ্তি