পপুলার লাইফের গ্রাহকদের ৮ কোটি টাকার বেশি বিমা দাবি হস্তান্তর

সুপ্রভাত রিপোর্ট :
বিমা দাবির বিপরীতে ২ হাজার ৯২০টি চেকের মাধ্যমে গ্রাহকদের হাতে ৮ কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার ৭০৭ টাকা হস্তান্তর করেছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
গতকাল রোববার নগরের রীমা কনভেনশন সেন্টারে চেক হস্তান্তর ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান ও একুশে পদক প্রাপ্ত সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শারীরিক সমস্যার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।
মূল অনুষ্ঠান শুরুর পর সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় তিনি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পিএইচপি ফ্যামিলি ও কোম্পানির পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, করোনায় যেখানে অনেকেই বেতন দিতে না পেরে কর্মী ছাঁটাই করছে, সেখানে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি গ্রাহকের টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করছে। আমার বাবা সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এই কোম্পানি গড়ে তুলেছেন মানুষের কল্যাণের জন্য। মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য।
গ্রাহকের সেই আস্থা ধরে রাখতে পেরেছে বলেই পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের তৃতীয় শীর্ষ বিমা সংস্থা হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে বলেও মন্তব্য করেন মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী।
পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকদের সিংহভাগ নি¤œবিত্ত উল্লেখ করে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গ্রাহকদের অনেকেই কাজ করেন পোশাক কারখানায় কিংবা বাসা বাড়িতে। তারাই আস্থা রেখেছেন আমাদের ওপর। তাদের আমরা স্বপ্ন দেখাচ্ছি নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে। যদি আমরা একসঙ্গে সততার সাথে কাজ করি, তাহলে এই কোম্পানির হাত ধরেই সোনার বাংলার ভিত্তি আরও দৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রতিটি ওয়ার্ডে ও গ্রামে গ্রামে অফিস থাকবে। এখন এই কোম্পানির মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মী আছে দুই লাখ। সেটা একদিন ৫ লাখে গিয়ে পৌঁছবে। কারণ আমরা সততা ও বিশ্বস্ততার সাথে গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করে আসছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বিএম ইউসুফ আলী।
তিনি বলেন, আমাদের বর্তমানে গ্রাহক আছে প্রায় ১৫ লাখ। যেটা আগামীতে ২৫ লাখে গিয়ে পৌঁছবে। আমরা গত বছর ২০০৯ গ্রাহকের দাবির বিপরীতে আটশ কোটি টাকা হস্তান্তর করেছি। চলতি বছরের ১০ মাসে তিনশ কোটি টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৩৩ লাখ গ্রাহককে তাদের দাবির বিপরীতে এ পর্যন্ত ৫ হাজার কোটি টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক ও কোম্পানির পরিচালক মোহাম্মদ আমির হোসেন চৌধুরী ও মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম শওকত আলী, সিনিয়র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানির সচিব মোস্তফা হেলাল কবির, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোতাহার হোসেন ও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রমুখ